আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:১৩
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

সুযোগ পেয়ে কি লাফাচ্ছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ২৩ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ ১৫ বছর পর মন খুলে রাজপথে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে বিএনপি। আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি একেবারেই কোনঠাসা ছিল। আর জামাতকে নিশ্চিহৃ করার চেষ্টা করেছে। দমন পীড়ন এতটাই বেড়েছিল যা দেখে সাধারণ মানুষও কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিল। রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ যারা সরকারের ভুলগুলি তুলে ধরত তারা সব চেয়ে বেশী আতঙ্কে ছিল ঘুম হওয়ার। বিএনপি যখনই রাজপথে নামার চেষ্টা করেছে তখনই খুব কঠোর ভাবে দমন করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের এত মামলা তারা আদালতের বারান্দা ছাড়তে পারেনি। কোন না কোন মামলায় প্রায় প্রতিদিনই আদালতে হাজিরা দিতে হতো। নেতাকর্মীদের হারাতে বাড়িঘর ও ব্যবসা বানিজ্য। ভোগতে হয় অর্থ কষ্টে। আওয়ামীলীগের জুলুম বাড়তে বাড়তে চরম সীমায় পৌছে গিয়েছিল। আর সহ্য করতে পারেনি দেশের জনগণ। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে জালিম হাসিনা সরকারকে বিদায় হতে বাধ্য করা হয়। হাসিনাও উপায় অন্তর না পেয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই বিএনপি আবার রাজপথে ফিরেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের শিক্ষা নিয়ে তারা আগামী দিনের রাজনীতির কৌশল করবেন বলে অনেকে মনে করেন। এদিকে তারাও যদি আওয়ামীলীগের মত দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও জুলুমে অংশ নেয় তবে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরও প্রত্যাখান করবে এবং দেশ থেকে বিতারিত করবে। এমন ইতিমধ্যে জনগণের মধ্যে শুনা যাচ্ছে। এদিকে ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর বিএনপির কিছু নেতা চর দখরের মত দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে বন্দরের যুবদল নেতা কাজী সোহাগ বন্দর খেয়াঘাটের অটো ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত সময় আওয়ামীলীগের ক্যাডার বির্তকিত যুবলীগ নেতা খান মাসুদ এ স্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজি করে গেছে। সরকারি জায়গায় বাজার বসিয়ে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে। সেই ক্যাডার খান মাসুদের স্থলাভিত্তি হতে চাচ্ছে যুবদল নেতা কাজী সোহাগ। সে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আস্থাভজন লোক হিসাবে পরিচিত। মহানগর বিএনপি বারবার বলে আসছে কেহ দখলবাজি বা চাঁদাবাজি করলে তাদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে। এদিকে বিনা ইজারায় দীর্ঘ ১৫ বছর বন্দর ১নং খেয়াঘাটের টোল আদায় করত শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাজনু। সে ৪টি ঘাট দখল করে বিনা ইজারায় তা লুটেপুটে খেয়েছে। আর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আওয়ামলিীগ নেতারা যখন পালিয়ে গেছে সেই সুযোগে সেই ঘাটগুলি দখলে নিয়ে বিএনপির একটি প্রভাবশালী অংশ। তাতে দেখা যায়, আওয়মীলীগ-বিএনপি যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এ সকল ঘাটগুলি ইজারা না থাকায় কোটি কোটি টাকা সরকার রাজস্ব হারিয়েছে। আর গলাকাটা হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। ইজারার সময় ঘাটের ছিল ৫০ পয়সা আর বিনা ইজারায় টোল বেড়ে দাঁড়ায় ২ টাকা। প্রতিদিন বন্দর ১নং খেয়াঘাট দিয়ে প্রায় ২ লাখ লোক পারাপার হয়। আর বিনা ইজারায় আওয়ামীলীগের নেতারা হাতিয়ে নেয় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা। আর সেই কাজে নেমেছে বিএনপির একটি অংশ যা বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ ঘাটে বিআইডবিøটিএ’র কর্মচারী দিয়ে টোল আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা হলে দেশের কাজে লাগবে। আর চাঁদাবাজরা এ টাকা দেশের কাজে না লাগিয়ে বিদেশে পাঁচার করবে। এ জন্য এখনই সময় খেয়াঘাটগুলি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা। এদিকে বিএনপি সুযোগ পেয়ে কি লাফাচ্ছে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা তা খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে সাধারণ মানুষ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা