আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:১৮
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

নিজেদের অপকর্মের জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওসমান অনুসারিরা

ডান্ডিবার্তা | ২৭ আগস্ট, ২০২৪ | ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসন করা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এতে দীর্ঘ দিনের একচেটিয়া শাসন-শোষন, নীপিড়ন, অত্যাচার জেল জুলুম, অন্যায় অবিচারের এক যুগের বেশি সময় ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একচেটিয়া শাসন এবং শোষন করেছে শামীম ওসমান সহ পুরো ওসমান পরিবার। ইতোমধ্যে ওসমান সম্রাজ্যের সদস্য হত্যা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। হত্যার হুলিয়া নিয়ে দেশ ছাড়তে না পারলেও পালিয়ে বেরাচ্ছেন। এদিকে ওসমান পরিবারের অন্যতম সদস্য সারাদেশে প্রভাবশালী শামীম ওসমান, তার বড় ভাই সেলিম ওসমান তাদের ভাতিজা আজমেরী ওসমান মিলে নারায়ণগঞ্জে গত ১৬ বছরে বিশাল এক ওসমানীয় সম্রাজ্য গড়ে তুলেন। তাদের এই সম্রাজ্য দিয়ে শহরে আনাচে কানাচে চাদাঁবাজি, টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করেছন। এমনকি তাদের লোকজন ভুমি অফিস সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিজেদের গঠিত ওসমানীয় সম্রাজ্যের লোক দিয়ে জেলার ব্যবসয়ী সংগঠন থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে সকল সদস্যই মিনিমাম শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। গত ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনার পতনের পরে এক মুুহুর্তে ওসমানদের সম্রাজ্য ভেঙ্গে যায়। শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমি শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে গণায় ধরি না। অথচ এই শামীমওসমানই যাদের দিয়ে তার সম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাদের ফেলে রেখে রাতের আধারে পালিয়ে গেছেন। তিনি তার সহযোগিদের খোজ নেয়ার জন্য মনে করেন নাই। ওসমানীয় সম্রাজ্যের তালিকায় রয়েছেন, শামীম ওসমানের প্রধান সেনাপতি হিসেবে পরিচিত ও ফতুল্লার গার্মেন্টস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরের অলিখিত চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রণকারী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। আদালত পাড়াকে কুখ্যিগত করে রাখা আইনজীবি মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, স্কুলের টাকা আত্মসাত করার অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু চন্দ শীল, শহরের পরিবহন স্ট্যান্ডের চাদাঁবাজ হিসেবে পরিচিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এলজিইডির টেন্ডার কুখ্যিগত করে রাখা নেতা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, তার ভাগিনা তারই টেন্ডার পরিচালনায় থেকে বিত্তশালী বনে যাওয়া মহানগর স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোশিয়নের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন, বর্তমান সভাপতি সেলিম সারোয়ার। সকল সন্ত্রাসীদের বস ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুউল্লাহ বাদল, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা বালু মহলের নিয়ন্ত্রণকারী আওয়ামী লীগ নেতা আবু মো. শরীফুল হক, মাদক মামলার আসামী মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সেক্রেটারি সাইফু উদ্দিন প্রধান দুলাল, নানা প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে দেয়া বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রনে এক আধিপত্য নেতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, চাদাঁবাজ, মসজিদের জায়গা আত্মসাত করা নেতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইয়াছিন মিয়া। শহর শ্রমিকলীগের সাবেক সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না, তোলারাম কলেজ ভিপি পরিচয়ে এই কলেজকে কুখ্যিগত করে রাখা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, তার প্রধান সহযোগি সাবেক সেক্রেটারি হসানাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবকে সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রাফেল। এছাড়া মাদক ব্যবসা সহ চাদাঁবাজদের নিয়ন্ত্রণকারী ফতুল্লা থানা যুবলীগের সেক্রেটারি ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, ফতুল্লার ভুমিদস্যুতা, মাদককারবাড়ির নিয়ন্ত্রণকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর হোসেন মীরু, বন্দর ঘাটের চাদাঁবাজির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণকারী খান মাসুদ, হোসিয়ারি সমিতির আধিপত্য বিস্তারকারী নাজমুল আলম সজল, চেম্বার অব কমার্সের নিয়ন্ত্রণকারী খালেদ হায়দার কাজল, ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েনের সভাপতি হয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে চাদাঁ নেয়া ব্যক্তি লিটন সাহা। ডিস ওয়াইফাই ব্যবসাসহ চাদাঁবাজিতে আধিপত্য বিস্তার করা নাসিক প্যানেল মেয়র আদুল করিম বাবু, চাদাঁবাজি এবং বালুমহল নিয়ন্ত্রন করে বিত্তশালী হওয়া কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল। ক্রিড়া সেক্টর এবং সদর উপজেলার এসিল্যান্ড অফিস আধিপত্য বিস্তার করেছে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু। সরসারি প্রকাশ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে গুলি করেছে। তার প্রধান সহযোগি রানাকে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবকে মাদকের আখড়া বানিয়েছে। এছাড়া আইন অঙ্গনে আধিপত্য বিস্তারকারী হাসান ফেরদাউস জুয়েল, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া। সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নিয়ন্ত্রণকারী তেল চোরের হোতা থেকে টাকা কামিয়ে দুর্নীতি মামলার আসামী কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। চাদাঁবাজিতে অভিযুক্ত নাসিক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। এছাড়া আজমেরী ওসমান অনুসারীদের মাঝে সন্ত্রাসী নাসির, সন্ত্রাসী কাজী আমির, ওসমানরা নিজেদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পদে রেখে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হন। তারা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী শামীম ওসমানের সহযোগি হয়ে ভুমিদস্যুতা, চাদাঁবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদককারবারির সাথে জড়িত থেকে অবৈধ ভাবে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই তারাও পালিয়ে বেরাচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যাচার, নির্যাতিত হয়েছে। অনেকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভ’ক্তভোগিরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা