
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে ওসমানের পরিবারের অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরি ওসমান, যার নামের আগে ও পিছনে কখনো হাজী সাহেব, কখনো ভাইয়া, কখনো আবার বড় সাহেব নামেই বেশ পরিচিত। তার হাত যার কাধে পড়েছে তিনিই ফেলে ফুপে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়ে গেছেন। তার ছত্রছায়া ও আর্শিবাদ যিনি পেয়েছেন তিনি আঙ্গুলের ইশারায় পুরো নগরীতে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। বনে গেছেন বড় মাপের আতঙ্কের ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী। দুই দিন আগেও যাকে মানুষ জানতো না হাজী সাহেবের আর্শিবাদ পেলেই তিনি ব্যবসায়ি সংগঠন থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষের কাছে পেয়ে যেতেন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তকমা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর, বন্দর ও ফতুল্লা থানা এলাকাগুলোতে চলতো তাদের রামরাজত্ব। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখল, হত্যা যেন হাজী সাহেবের গ্রæপের কাছে ছিলো একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই গ্রæপের সদস্য হওয়া মানেই কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার প্রয়্জোন নেই। তাইতো সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকলেও ভাইয়ার আর্শিবাদ নিয়ে অফিস খুলে বসলেই টাকা কামানো ছিলো একেবারেই সহজ একটি বিষয়। তবে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ওসমান পরিবারের প্রতিটি সদস্যরা গাঁ ডাকা দিলেও তাদের উত্তসূরিরা এখনো তাদের রামরাজত্ব কায়েম করতে বদ্ধপরিকর। তাইতো নতুন বোতলে পুরাতন মদ যেমন তার গুনগত মান পরিবর্তন করে না। ঠিক তেমনি বন্দর উপজেলা এলাকা গুলোতে বিএনপির কিছু হাইব্রিট নেতাদের সমর্থন নিয়ে হাজী সাহেবের সেই উত্তসূরিদের কিছু সদস্য তাদের রামরাজত্ব ধরে রাখার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, হাজী সাহেবের গ্রæপের দুই সদস্য ঘারমোড়া এলাকার সরদার বাড়ির মহিত সরকারের ছেলে অনিক ও সিফাত বন্দর উপজেলার আওতাধীন ঘাড়মোড়া, আলী নগর, ফরাজি কান্দা, চুনাভূরা, মোহনপুর, নরপর্দি, বুরুন্দি এলাকায় আবারো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচার সরকারের পতন হওয়ার পর বেশ কয়েকবার হোন্ডা বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়ে পুনরায় তাদের রাজত্ব ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করেছেন। এই দুই ভাই কেপ রোমান হত্যা মামলায় জামিনে থাকলেও, তাদের বিরুদ্ধে নুতন করে কোন মামলা হয়নি। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সাংসদ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান সর্বপরি হাজী সাহেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আহবানে গড়া বর্তমান সরকারের অধিনে এই ধরনের ঘটনা বা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। যারা ৪ আগষ্ট হাজী সাহেবের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি, লুট, হামলা করে প্রায় ৫০ জনকে আহত করেছে। নাকি বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের মুঠোফোনে টাকা চলে যাওয়ায় এখনো তারা নিরাপদে আছে সেটা এখনো সাধারণ মানুষের মাঝে পরিষ্কার নয়।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯