আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:০৫
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

আজমেরী ওসমানের উত্তসূরিরা এখনো বহাল তবিয়তে

ডান্ডিবার্তা | ২৭ আগস্ট, ২০২৪ | ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে ওসমানের পরিবারের অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরি ওসমান, যার নামের আগে ও পিছনে কখনো হাজী সাহেব, কখনো ভাইয়া, কখনো আবার বড় সাহেব নামেই বেশ পরিচিত। তার হাত যার কাধে পড়েছে তিনিই ফেলে ফুপে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়ে গেছেন। তার ছত্রছায়া ও আর্শিবাদ যিনি পেয়েছেন তিনি আঙ্গুলের ইশারায় পুরো নগরীতে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। বনে গেছেন বড় মাপের আতঙ্কের ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী। দুই দিন আগেও যাকে মানুষ জানতো না হাজী সাহেবের আর্শিবাদ পেলেই তিনি ব্যবসায়ি সংগঠন থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষের কাছে পেয়ে যেতেন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তকমা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর, বন্দর ও ফতুল্লা থানা এলাকাগুলোতে চলতো তাদের রামরাজত্ব। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখল, হত্যা যেন হাজী সাহেবের গ্রæপের কাছে ছিলো একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই গ্রæপের সদস্য হওয়া মানেই কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার প্রয়্জোন নেই। তাইতো সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকলেও ভাইয়ার আর্শিবাদ নিয়ে অফিস খুলে বসলেই টাকা কামানো ছিলো একেবারেই সহজ একটি বিষয়। তবে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ওসমান পরিবারের প্রতিটি সদস্যরা গাঁ ডাকা দিলেও তাদের উত্তসূরিরা এখনো তাদের রামরাজত্ব কায়েম করতে বদ্ধপরিকর। তাইতো নতুন বোতলে পুরাতন মদ যেমন তার গুনগত মান পরিবর্তন করে না। ঠিক তেমনি বন্দর উপজেলা এলাকা গুলোতে বিএনপির কিছু হাইব্রিট নেতাদের সমর্থন নিয়ে হাজী সাহেবের সেই উত্তসূরিদের কিছু সদস্য তাদের রামরাজত্ব ধরে রাখার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, হাজী সাহেবের গ্রæপের দুই সদস্য ঘারমোড়া এলাকার সরদার বাড়ির মহিত সরকারের ছেলে অনিক ও সিফাত বন্দর উপজেলার আওতাধীন ঘাড়মোড়া, আলী নগর, ফরাজি কান্দা, চুনাভূরা, মোহনপুর, নরপর্দি, বুরুন্দি এলাকায় আবারো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচার সরকারের পতন হওয়ার পর বেশ কয়েকবার হোন্ডা বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়ে পুনরায় তাদের রাজত্ব ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করেছেন। এই দুই ভাই কেপ রোমান হত্যা মামলায় জামিনে থাকলেও, তাদের বিরুদ্ধে নুতন করে কোন মামলা হয়নি। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সাংসদ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান সর্বপরি হাজী সাহেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আহবানে গড়া বর্তমান সরকারের অধিনে এই ধরনের ঘটনা বা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না। যারা ৪ আগষ্ট হাজী সাহেবের নেতৃত্বে ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলি, লুট, হামলা করে প্রায় ৫০ জনকে আহত করেছে। নাকি বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের মুঠোফোনে টাকা চলে যাওয়ায় এখনো তারা নিরাপদে আছে সেটা এখনো সাধারণ মানুষের মাঝে পরিষ্কার নয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা