গাজী টায়ারর্সে ৪ দিনেও শুরু হয়নি উদ্ধার অভিযান

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রূপগঞ্জের রূপসীতে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। এদিন বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা কারখানাটি পরিদর্শন করেন। এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে কারখানার সামনে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেন, আমি ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন- ভবনের ৪, ৫ ও ৬ তলার ফ্লোরটি ধসে গেছে এবং এখনও আগুন রয়েছে। এ মুহূর্তে উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব নয়। রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার গাজী টায়ারসের আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, ভবনটিতে এখনো উত্তাপ থাকায় পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। এদিকে, ভবনটি নাজুক অবস্থায় থাকায় ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্টের নিরীক্ষণ’ ছাড়া ভেতরে ঢুকে হতাহত কেউ আছেন কিনা সে ব্যাপারে অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (জোন-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার)সকালে আগুন নেভানোর পর ইনিশিয়ালি আমরা ভবনটির সিড়ি দিয়ে চারতলা পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলাম। সিড়িতে দাঁড়িয়ে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর কোনো ভিক্টিমচিহ্ন পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার সকাল পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কথা জানালেও বিকেলের পর আবারও ভবনটিতে আগুন জ্বলে ওঠে। সন্ধ্যার পর রাতে আগুনের তীব্রতা বাড়ে। তবে, আগুন রাতের মধ্যেই নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান আব্দুল মন্নান। তিনি বলেন, ‘ভেতরে প্ল্যাস্টিক, রাবারজাতীয় বস্তু থাকার কারণে প্রতিনিয়ত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় ভবনটি এখন অনিরাপদ। আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক্সপার্ট টিমসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরামর্শের অপেক্ষায় আছি। উপরের নির্দেশনা ছাড়া ভবনটিতে ঢুকে অনুসন্ধান চালানো যাচ্ছে না। এদিকে গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনের তাপে ভবনটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে আছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে গতকাল বুধবারের মধ্যে তারা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হন। আগুন পুরোপুরি নিভে যাওয়ার পর পর্যবেক্ষণ করার কথা থকলেও তা শুরু হয়নি। এদিকে ভবনে অনুসন্ধান চালাতে না পারায় নিখোঁজদের বিষয়ে চূড়ান্ত কোন তথ্য দিতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন একটি তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে জানালেও নিখোঁজের কোনো সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে নিখোঁজদের খোঁজে অপেক্ষমান স্বজনদের প্রতীক্ষা আরো দীর্ঘ হচ্ছে। ঘটনার চতুর্থ দিন বুধবার সকালেও কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় নিখোঁজদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে রকিবুর রহমান সাগর বলেন, আমি গত ১৭ বছর মতি ও তার বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত ছিলাম। এই ধরনের কোন কাজে আমি জড়িত নই। সাংবাদিকদের কেউ ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করা হচ্ছে।