জবর দখলে মেতেছে বিএনপির নামধারীরা বদনাম যাচ্ছে শীর্ষ নেতা ও দলের ঘাড়ে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ ১৬টি বছর নির্যাতনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আজ যারা রাজপথে এসেছে তাদের টপকিয়ে যেতে চেষ্টা করছে রাতারাতি বোল পাল্টানো কিছু নব্য বিএনপির আর্ভিবাব ঘটেছে। যারা বিএনপির শত হুশিয়ারী সত্বেও লুটপাট আর দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। গত ৫ আগষ্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে কিছু সুযোগসন্ধানী যারা এতদিন আওয়ামীলীগের নেতাদের পিছুনে চাটুকারের মত থেকে ফায়দা লুটেছে এখন তারাই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পাশে এসে চাটুকারিতা শুরু করেছে। আর বিএনপি নেতাদের বা দলের ইমেজ ক্ষন্ন করার জন্য একটি মিশন নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। তাদের কাজ যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের চাটুকারিতা করে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অপকর্ম করে নিজেদের আখের গুছানো। আওয়ামীলীগ শাসনামলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ও সেন্ট্রাল খেয়াঘাট, নবীগঞ্জ খেয়াঘাট, ২নং ঢাকেশ^রী খেয়াঘাট বিনা ইজারায় দখল করে টোলের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘ ১৫টি বছর তারা বিনা বাধায় ৫০ পয়সার টোল যাত্রীদের কাছ থেকে ২ টাকা করে নিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের নেক্কার জনক পতনের পর আওয়ামীলীগের সেই সকল সন্ত্রাসীরা ঘাটগুলি ফেলে পালিয়ে যায়। আর এ সুযোগে বিএনপির কিছু নামধারী কথিত নেতার সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলী সন্ত্রাসীদের মত ঘাটগুলি দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সেক্টরও দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের দখলে ছিল। তারা যখন চলে গেছে সেই একই রূপে বিএনপির নামধারী নেতারা তা দখল করে নিয়েছে। তবে এখনো শুরু হয়নি সড়কে চাঁদাবাজি। তা হতো যদি ছাত্রদের চাপ না থকতো। নবীগঞ্জে এক বিএনপির নামধারী নেতা অটো স্ট্যান্ড দখল করতে গিয়ে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে ফিরে আসেন। তবে পরিবহন সেক্টর ও খেয়াঘাটগুলি দখল মুক্ত হয়নি বরং হাত বদল হয়েছে। এতে করে এর দায় বিএনপির গাড়ে বর্তাচ্ছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়াচ্ছেন বিএনপির কেহ বিশৃঙ্খলা করতে দলীয় ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে চোখে পড়েনি। গত মঙ্গলবার গার্মেন্টেসের ঝুট নামানো নিয়ে বিএনপি পরিচয়দানকারী দুই গ্রæপের মধ্যে ষংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সরকার পলট খেলেও দখলবাজি থেমে নেই। সাধারণ মানুষ এ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। এখনো বাজারে দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ হয়নি। সেই আগের মতই সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যে যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আওয়ামী জুলুম থেকে যেমন মুক্ত হয়েছে তেমন নিত্যপন্যসহ সকল সেক্টরের জুলুম থেকে মুক্তি পেতে চায়।