আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:৫৭
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত জিসানের পরিবারের পাশে কোরিয়ান নাগরিক

ডান্ডিবার্তা | ৩১ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রুপগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বাড়িতে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন জিসান। তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জাপান-বাংলাদেশ প্রিন্টিং এন্ড পেপার লিঃ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মাসুমাবাদ এলাকায় নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সেলিম প্রধানের ব্যাবসায়িক বন্ধু কোরিয়ান নাগরিক জিনাহ। তারা নিহত ছাত্র জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। এর আগে জিনাহ ও সেলিম প্রধান জিসানের বাবার কাছে তার হত্যাকাÐের ঘটনা শোনেন। পরে সহায়তা প্রদান শেষে জিনাহ ও সেলিম প্রধান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় সেলিম প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে বিনা অপরাধে চার বছর জেল খাটিয়েছে। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাসিয়েছে। আমার পরিবার সেই সময়ে দুঃসহ জীবন পাড় করেছে। আমার সেই সময়ের কথাগুলো মনে হলে এখনো আঁতকে উঠি। তাই আমি যেকোন বিপদগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। গত দশ মাস ধরে আমি একটি যুদ্ধ শুরু করেছি। রুপগঞ্জকে সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ও মাদকমুক্ত করার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া কষ্টকর। তবে নতুন বাংলাদেশে চাইলে সেটা সম্ভব। আমি সেই চেষ্টাটাই করছি। আমার এ চেষ্টায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে পাশে চাই। অপর এক বক্তব্যে সেলিম প্রধানের ব্যাবসায়িক বন্ধু জিনাহ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি ঢাকাতেই ছিলাম। আমি দেখেছি, কিভাবে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। কত ছাত্র-জনতা সেই সময় মারা গেছে। সেই সময়কার ঘটনাগুলো আমাকে অনেক মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। আমি ভিনদেশী না হলে সেই আন্দোলনে অংশ নিতাম। আমার বন্ধু সেলিমের মাধ্যমে জানতে পারি, রুপগঞ্জেও অনেকে মারা গেছে এবং আহত হয়েছে। তাই এখানে এসেছি। চেষ্টা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আমার জায়গা থেকে আমি আরও চেষ্টা করব। প্রয়োজনে আমি আমার দেশের সরকারের সাথে কথা বলব। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে কিছু একটা ব্যবস্থা করার জন্য কোরিয়া সরকারের কাছে আবেদন জানাব। আশা করি কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। এ সময় জিসানের বাবা আলমগীর মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জিসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিয়মিত ছিলেন। ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর ছাত্র আন্দোলনে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই গত ৩০ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জিসানকে হত্যা করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা