আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:২০
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

আনু হত্যার নেপথ্যে স্ত্রী পাপীয়ার সাথে রাসেলের পরকীয়া

ডান্ডিবার্তা | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কথিত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাসেল মাহমুদ, কিছুদিন আগে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। আনু রাসেলকে আদর করে খুব কাছে স্থান দিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগেই আনুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন রাসেল। এরপর আনুর স্ত্রী পাপীয়া যিনি দুই সন্তানের জননী তাকে বিয়ে করেন এবং আনুকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করান। আনুর আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ সেই পরকীয়াই শেষ পর্যন্ত আনোয়ারের মৃত্যুর কারণ হয়ে দঁড়িয়েছিলো।  জানা গেছে, গত ২৬ আগষ্ট মাসদাইরের একটি বহুতল ভবনের লিফটের ফাঁকা স্থান থেকে আনুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়িতে এক ছেলে ও এক মেয়ের সাথে থাকতেন তিনি। তখন আনোয়ারের আত্মীয় স্বজন অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক স্ত্রী পাপীয়া এবং তার স্বামী রাসেলের নির্দেশেই এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। পরে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ উদ্ধারের দিনই আনোয়ারের ছেলে সারিদ ও মেয়ে জান্নাত আরা প্রেরণাসহ আরো দুই জনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালত রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে। পুলিশের ধারনা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটি অবশ্যই হত্যাকান্ড। তবে সঠিক তদন্ত এবং যাদের আটক করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাদের জিজ্ঞেসাবাদের মাধ্যমেই সঠিক তথ্য জানা যাবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুবদল নেতা আনু দেওভোগ এলাকার স্থানীয় বাসীন্দা। তার বড় ভাই নাসিকের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির। আনুর এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মূলত রাসেলই হলো সকল কিছুর মূল। ওর জন্যই আনুর সুখের সংসার ভেঙেছে এবং তার মৃত্যুর জন্য আজ রাসেলই দায়ী বলে জানান দেওভোগের অনেক লোকজন। আল আমিন নামে দেওভোগ আখড়া এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আনু আমার বন্ধু ছিলো। আমরা এক সাথে দল করতাম। ও বিশ^াস করে রাসেলকে তার সহযোগী করেছিলো। বিসিকের বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য শিখিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রীকে নিয়েই বাজে কাজ করছে সে। আজকে আনু ভাইয়ের সংসার ভাঙা আর তার মৃত্যুর জন্য ওই রাসেলই দায়ী। আমরা চাই ওকে পুলিশ যাতে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞেসাবাদ করে। আনুর ভাই রহমান মিয়া বলেন, ওই রাসেল ওরে আমরা ভালো মনে করছিলাম। কিন্তু সে আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর আনুর সম্পত্তির দিকে নজর দেয়। আমারা নিশ্চিত সম্পত্তির জন্য রাসেল আর পাপিয়া কাউকে দিয়া আমার ভাইরে মেরে লিফটের ফাকা জায়গা দিয়ে ফেলে দিসে। উল্লেখ্য, আনু হত্যার ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আনুর স্ত্রী পাপীয়া, রাসেল, ছেলে সারিদ, মেয়ে প্রেরণাসহ আরো বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন আনুর ভাই বাদশা মিয়া। বর্তমানে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বিচার চলমান।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা