
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:
বন্দরের মদনপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের সহযোগী বন্দরের মদনপুর ফুলহরের ডন ভূমিদস্যু ও পরিবহন চাঁদাবাজ আমির হোসেন এখনো বহাল তবিয়তে। তার কাছে আজমেরী ওসমানের অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ডন আমির হোসেন মদনপুর ফুলহর (নাসিক) ২৭নং ওয়ার্ডের মৃত সরাফত আলী মেম্বারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, এক সময় হিমালয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর কাউন্টারে বসে টিকেট বিক্রি করতো। নারায়ণগঞ্জের ত্রাস আজমেরী ওসমানের সহযোগী হয়ে শুরু করে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি। কিছু দিনের মধ্যে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। সে মদনপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের শেল্টারে গড়ে তুলতে শুরু করে অস্ত্রের মহড়্্, ভূি দস্যুতা ও চাঁদাবাজি। তার কাছ থেকে রিক্সা চালক থেকে শুরু করে কোন ট্রান্সপোর্ট মালিক ও পরিবহন চালকরা রেহাই পায়নি। বিগত দিনে স্ট্যান্ড দখল নিয়া মদনপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলকে কয়েকবার প্রকাশে হামলা করে এবং হত্যার চেষ্টা করে। মদনপুর স্ট্যান্ডের দোকানের চাঁদা ও সিএনজি অটো বাইকের চাঁদাবাজি নিয়ে প্রকাশ্যে খলিল মেম্বারকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। তার সাম্রাজ্য বাড়িয়ে তোলতে নারায়ণগঞ্জ এর আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে শীর্ষ ডন আমির আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। সে গড়ে তুলে সন্ত্রাসী বাহিনী। এই সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করত। শুধু তাই নয়, সে আজমেরী ওসমানের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসবাহিনী দিয়ে লোক ধরে এনে তার টর্চারশেলে নিয়ে মারধর করে হাতিয়ে নিত মোটা অংকের টাকা। এ ব্যাপারে কেহই ভয়ে মুখতে চান না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের আগের দিন রাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের লালিত সন্ত্রাসবাহিনীর মাধ্যমে দেশী-বিদেশী অস্ত্র মদনপুর শীর্ষ ত্রাস উত্তরাঞ্চলের ডন আমিরের কাছে জমা রাখে। এ সন্ত্রাসী আমিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। সে তার বাহিনী নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য নামধারী আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেন। এই সকল অস্ত্রগুলি নারায়ণঞ্জের সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের বাহিনী সরবরাহ করে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও মদনপুর, ফুলহর, মুরাদপুর, দেওয়ানবাগ, চেঙ্গাইন ও অলিপুরা কান্দাপাড়া গ্রামের মানুষের মধ্যে এখনো আতংক বিরাজ করছে। এখনো আওয়ামীলীগের দোসর নামধারী জাপা নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী আমির হোসেনর কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যপারে অভিযুক্ত আমির হোসেনের মোবাইলে একাধিক বার কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, মদনপুরে পরিবহন চাঁদাবাজির বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। আমি চাঁদাবাজ আমিরের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। যে কোন সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯