
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এখনো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। এরা ভুমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। অনেকের ধারনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র জনতার উপর হামলা করা অবৈধ অস্ত্রগুলো এখনো এ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সুরক্ষিত রয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তল্লা, হাজীগঞ্জ, পাঠানটুলী এলাকায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীর এ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি চলছে পূর্ণোদ্যমে। বুক ফুলিয়ে তার সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এখনো। এ সূত্র ধরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি খালিদ মনসুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গুপ্তি মেরে থাকা বা কারো ছত্রছায়া থাকা এ ধরনের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশাসনের কাছেও তথ্য রয়েছে। এই পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান। ক্রমান্বয়ে সব জায়গায় অভিযান চালানো হবে। গোপন সূত্রে জানা যায়, আজমির ওসমান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার হাজীগঞ্জের মাসুম প্রকাশ্যে এখনো বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকাবাসীদের জিম্মি করে তার নেট ব্যবসা পরিচালনা করে চলছে। নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের হিংস্রতার কথা সকলেরই কমবেশি জানা। প্রায় ১৭ বছর নারায়ণগঞ্জটিকে দখল করে রেখেছিল তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরের কথা, চিন্তা করলেও হতে হতো হামলা এবং মামলার শিকার। নারায়ণগঞ্জ তথা প্রতিটা পাড়া মহল্লাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এক একটা ক্যাডার গ্যাং তৈরি করে রেখেছিলো আজমেরী উসমান। এই বাহিনী গুলি ভাইয়াজান ও আম্মাজান পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে দাবরিয়ে বেড়াতো। তার নির্দেশনায় চলতো ওই বিশাল বাহিনীর বহর। বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেওয়া হয়েছিল একটি করে ইজিবাইক এবং বাইকের মাথায় স্টিকার ছিল আজমির ওসমান ফাউন্ডেশন। এ গ্রæপের সদস্যরা জবরদখল ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন অপকর্ম ছিল না যা তাদের দাঁড়া অসম্ভব ছিলো। তাদের দেখলে সাধারণ জনতা থাকতো আতঙ্কে। কারণ তাদের সাথে সামান্য কিছু ঘটলেই চলে আসতো বিশাল বিশাল হুন্ডা বাহিনী। তাদের কথার অবাধ্য হলেই করা হতো সাধারণ মানুষকে নাজেহাল, শারীরিক টর্চা। তবে হাজিগঞ্জ, পাঠানটুলি, তল্লা, এনায়েত নগর এই অঞ্চলগুলিতে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব স্থানে ছিলেন হাজীগঞ্জ এলাকার মাসুম ও রাজু এরা দুজন। মাসুম ও রাজুকে আজমিরী ওসমান ওরফে ভাইয়া জান এবং তার মা আম্মাজান নিজেই এই গ্রæপটাকে পরিচালনা করত। অনেকের মতে আম্মাজানের অর্থের যোগানদাতা ছিল এরা দুইজন। রাজু কিছুটা নিরব থাকলেও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতা এবং সব অপকর্ম করে চলছে মাসুম। মাসুম জাতীয় পার্টি যুব সমাজের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জের গডফাদার এ.কে.এম শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা শীর্ষ সন্ত্রাসী আজমির ওসমান বাহিনীর অনেকে পালিয়ে গেলেও এই সন্ত্রাসীরা কারো না কারো ছত্রছায়ায় প্রকাশে ঘোরাফেরা ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন ডুবদিয়ে থাকলেও এই মাসুম এখন আবার এলাকায় প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। সে তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে কিছু সাংবাদিক ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের নাম। অত্র এলাকার মানুষ হতবাক কিভাবে এত বড় সন্ত্রাসী এখনো প্রকাশে ঘোরাফেরা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূমিধস্যু চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য ছাড়াও হাজিগঞ্জ, তল্লা, পাঠানতলী, এনায়েত নগর ওয়াবদারপুল ও এমসারকেস এই এলাকাগুলোতে মাসুম ও রাজুর একক নিয়ন্ত্রণে একেএম শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার করতো, যা এখনো বহাল। বিশেষ পেশার কয়েকজন ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর ছত্রছায়া এই ব্যবসা এখনো চলমান বলে জানা যায়। যার সেন্টার দাতা ছিল এটিএম শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান।
ই-
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯