আজ মঙ্গলবার | ৬ মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ৭ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ৩:২৫

ইসদাইরের এখনো অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা

ডান্ডিবার্তা | ০৪ মে, ২০২৫ | ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন ইসদাইর এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল,তার ছোট ভাই ইমাম হাসান সম্রাট ও শরীফের শেল্টারে থেকে নানান অপকর্ম করে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে অন্তবর্তী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে নিল্লেখিত সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পিছপা হবে না। বিএনপি’র নেতাদের কাঁধে ভর করে ও আত্মীয়তার সুযোগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এলাকায় বিচরণ করছে।
এমনকি বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করছে। একটি সূত্র হতে জানা যায়, নিম্নলিখিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান উজ্জল, তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা ইমাম হাসান সম্রাট ও সাবেক জাতীয় পার্টির নেতা মানিকের ছোট ভাই ও বিএনপি নেতা শরিফের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অতি দ্রæত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিম্নলিখিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবী জানিয়েছেন। সেই সাথে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন, যারা এসব আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সুবিধাবাদী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে জোর দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাবাদী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই সহ নানান অপরাধে জড়িত ছিল তাদের শেল্টার দাতাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ব্যবস্থা নিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রতি জোর দাবি জানান। একটি সুত্র হতে জানা যায়, ঘাপটি মেরে থাকলেও প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গৃহিত না হওয়ায় এবং বিএনপির শেল্টার পেয়ে এখন দেখা যাচ্ছে নিকট আত্মীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে থাকায় তাদের সাথে আতাঁত করে ইসদাইরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি সূত্র বলছে, ইসদাইর এলাকায় আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডাররা হলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম, মাসুমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফতুল্লা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন, শিমুল ও জামান, ইসদাইর রাবেয়া স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন, কিশোর গ্যাং লিডার ইভন, আজমেরী ওসমানের অন্যতম ক্যাডার নাসির, সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল, আজমেরী ওসমান এবং তার মা পারভীন ওসমানের ক্যাডার নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু। তবে তাদের মধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম গ্রেফতার হলেও তার এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ডের দায়িত্ব পালন করা জামান-শিমুল অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছে। ইসদাইর এলাকায় ডিস, ইন্টারনেট, ও ইট বালুর ব্যবসার নামে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে -মাদক ব্যবসা পরিচালনা করাই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। তবে তাদের বহু অবৈধ কার্যকলাপের শেল্টারদাতা ছিলেন তৎকালীন সাংসদ শামীম ওসমানের পতœী লিপি ওসমান। অপরদিকে ইসদাইর রাবেয়া স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, স্কুল কমিটির সভাপতি হওয়ার মাধ্যমে এলাকায় একজন মেম্বার চেয়ারম্যানের থেকেও অধিক প্রভাব বিস্তার করতেন। কেননা স্কুল কমিটির সভাপতির অযুহাতে ইসদাইর রাবেয়া স্কুলের স্থাপনাকে শামীম ওসমান তার পরিবারের ছবি দ্বারা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে রূপে পরিণত করেছিলেন। তাছাড়া শামীম ওসমান প্রায়ই স্কুলের যেকোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে ব্যাপক শো করতেন ছিদ্দিক। এভাবে ধীরে ধীরে শামীম ওসমানের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে এমনটা প্রচার করে ইসদাইরের বস্তিতে এক সময়ে গানের আসরের নামে অবৈধ কার্যকলাপ মাদক ব্যবসায়ী থেকে কিশোর গ্যাংদের শেল্টার দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেছিলেন। এছাড়া শামীম ওসমানের আর্শীবাদে ইসদাইরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার গার্মেন্টস এবং বিসিক এলাকার ফ্যাক্টরী থেকে ছিদ্দিকের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের নজির ছিল। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন জসিম,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদলের  সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে ইসদাইরের নিয়ন্ত্রণের রাজত্ব চালালেও তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা শরীফের শেল্টারে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকায় পর্দার অন্তরাল থেকে প্রভাব বিস্তার করছে। তাছাড়া তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা শরীফ এবং জসিম এক সময় কিশোর গ্যাং লিডার ইভনের বিরুদ্ধচারণ করে বহু কার্যকলাপ করলেও এখন এই ইভনকে শেল্টার দিচ্ছেন তারা। যার কারণে এখনো ইভন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে কিছুদিন আগেই কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এছাড়া আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন ঝুট ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, দখল ভূমিদস্যুতা, ডিস ব্যবসা জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণসহ বহু সন্ত্রাসীদের গ্যাংদের দ্বারা ইসদাইরে এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছিলেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রূপু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার উপরে হামলা চালায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা এবং হত্যার অভিযোগ থাকলেও এখনো ইসদাইরে নিজ বাসভবনে বসে বসে ইসদাইর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করছে। কিন্তু রূপুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আম্মাজান ভাইজান গ্রুপের ছত্রছায়ায় ইসলাম হার্ট সেন্টারের পাশের একটি স্থাপনা দখল করে অফিস করেন, নারায়ণগঞ্জে বালুর মাঠ এলাকায় ফুটপাত দোকান থেকে শুরু করে শহরের ব্যবসায়িক জায়গায় চাঁদাবাজি করতেন, বিসিক শিল্প এলাকা কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে আম্মাজান ভাইজান গ্রুপের হয়ে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতে সন্ত্রাসী কায়দায়, এছাড়া শহর বা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুতা জবরদখলের লিপ্ত থাকতো। সামা ফিরোজ নামে ইসদাইরে ছিলেন আরেক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য হয়ে শামীম ওসমানের শ্যালক টিটু শেল্টারে মাদক ব্যবসা, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, ইসদাইর বস্তিতে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নেতৃত্বে দিতেন। এদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনী পদক্ষেপ নেয়াটা অতীব জরুরী বলে দাবী ইসদাইর ও আশপাশ এলাকায় বসবাসকারীদের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা