আজ সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ১৩ জিলকদ ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৬:২৫

আ’লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে বিপাকে কর্মীরা

ডান্ডিবার্তা | ১২ মে, ২০২৫ | ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামীলীগের কর্মীরা। এতদিন তাদের পরিচয় ছিল এখন তারা পরিচয় দিতে পারবে না। এতে করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পরিচয়হীন হয়ে পড়েছে। জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামীলীগকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে আখ্যাদিয়ে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো হয়ে উঠে। অবশেষে ছাত্র-জনতার দাবি মুখে অন্তবর্তি সরকার জরুরী সভা করে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একমত ছিল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলি। এতে করে সরকারকে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে ব্যাক পেতে হয়নি। এদিকে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার খবর দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে নারায়ণগঞ্জে যে সকল আওয়ামীলীগের কর্মীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল তারা এখা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রæয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলাম। ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সাথে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রæত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি। আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। ’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বারবার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি। ’তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও গত রাতে অন্তর্র্বতী সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রæত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘœ করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সাথে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বতী সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম সহ্য করেও অব্যহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনো অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সেই ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এ্যানি বলেন, হাসিনার বিচার দ্রæত হলে গুম-খুনের একটা ফলাফল আসবে। বিচারের রায় হবে। গণহত্যার বিচার হবে, বিচারে একটা রায় হবে। যারা গণহত্যা, গুম-খুন করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আমরা চাই। অন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব হলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে দ্রæত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সবার আগে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার এবং আইনের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ। এটা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, শাহবাগে, যমুনায় বারবার মিছিল-মিটিং করতে হবে, গাড়ি আটকাতে হবে, এতে মানুষের কষ্ট হবে। এটি জনগণ চায় না, প্রত্যাশা করে না। জনগণ চায় টেবিলে আলোচনা করে শেষ করেন। টেবিলে আলোচনাটা জরুরি ছিল। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করলে এ নিষ্পত্তিটা আরও আগেই হতো। তিনি বলেন, মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। আমরা যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সেখানে যদি বিন্দুমাত্র মতভেদ তৈরি হয়, মানুষ মনে কষ্ট পাবে। এ কষ্ট আমরা মানুষকে দিতে চায় না। আমরা ১৭ বছরের বিচার চেয়েছি। গণহত্যা, গুম-খুনের বিচার চেয়েছি। দুর্নীতি, টাকা পাচারের বিচার চেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ফসল হলো বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার। এ সরকার নয় মাস দায়িত্ব পালন করছে। ৯ মাসে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। বিচার প্রক্রিয়া এত ¯েøা কেন, কারণ কী? হাসিনার বিচারটা যদি দৃশ্যমান আর দ্রæত হয়, তাহলে দেশের মানুষ খুশি হবে, আশ্বস্ত হবে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রæত সময়ের মধ্যে বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহŸায়ক নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ। দ্রæত সময়ের মধ্যে সব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রশ্নে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। সারাদেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রæত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা