
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বেকায়দায় আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগের কার্যক্রমসহ নিবন্ধন বাতিল করার পর বিপাকে পড়েছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনগুলি। এখন তাদের কাছে একটিই পথ পালিয়ে থাকা। কারণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তারাই আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে দমনপিড়ন চালিয়েছে। হাতে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারাই সবচেয়ে বেশী মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িয়েছে। এ ভয় এখন তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেফতারের পর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নেতারা আগেই পালিয়ে গেলেও যে সকল কর্মীরা এলাকায় ছিল তারাও পালাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী শূন্য হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ। অবশেষে আইভীর ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনের কর্মীসহ আইভীর ঘনিষ্ট ঠিকাদাররাও পালাতে শুরু করেছে। এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে গত সোমবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের বিরুদ্ধে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করা যাবে না। আওয়ামী লীগের সাতটি সহযোগী ও তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রয়েছে। যদিও প্রজ্ঞাপনে সংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। দলটির সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। এর আগে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল অন্তর্বতী সরকার। গত ১০ মে রাতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের চাপে সরকার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাÐ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বতী সরকারের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে সরকার, যাতে করে ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন মনে করলে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯