আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:২৪

নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ বিএনপিতে

ডান্ডিবার্তা | ১৯ মে, ২০২৫ | ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতারা নির্বাচনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে শুরু করে দিয়েছে। কবে নির্বাচন হবে এ প্রতিক্ষায় দিন গুনছে নেতাকর্মীরা। কারণ দীর্ঘ ১৬টি বছর ক্ষতার বাইরে থেকে বিএনপি একেবারেই বেসামাল হয়ে উঠেছে। বিএনপির জন্য যে চ্যালেঞ্জ ছিল তা দুর হয়ে গেছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ না হলে হয়তো কোন কোন স্থানে বিএনপির জন্য নির্বাচন করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতো। এদিকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যেমন বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে তেমনই আওয়ামীলীগের মধ্যে বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। এখন আওয়ামলিীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ অংশ নিতে পারবে না। আর এ সুযোগটি বিএনপি কাজে লাগাতে চাইছে। তাই বিএনপির সুর আওয়ামীলীগের প্রতি একটু নরম। বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে বলে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের যারা ভাল লোক তারা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন। আর বিএনপি এ কৌশলে আওয়ামীলীগের ভোট বাগাতে চাইছে। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতারা দ্রæত নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, যতটুকু সংস্কার দরকার তা হয়েছে আর কাল ক্ষেপন নয় দ্রæত নির্বাচন দিন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। একদলীয় শাসনে ক্ষমতা দেখানো যায়, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। সে কারণে বিএনপি কখনও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র একে-অপরের পরিপূরক। কিন্তু আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দাবি করলেও, তারাই এ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’ গণতন্ত্র রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। অপরদিকে আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাধা কোথায়– অন্তর্বতী সরকারকে উদ্দেশ করে এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, বিএনপি পরিপূর্ণ সংস্কারের পক্ষে। তবে সংস্কার একবারে শেষ করার বিষয় নয়। এটি অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হবে। সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়েছে। আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে বাধা কোথায়? কারও গোছানোর সময় দরকার, কারও বন্ধু জোগাড়ের জন্য সময় দরকার, সে জন্য জনগণের ভোট দেওয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার, এটা বিলম্বিত হবে– এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, একটি দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। তা মোকাবিলা ও সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। অন্তর্বতী সরকার বিষয়টি বোঝে। কিন্তু তাদের নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষ ফ্যাসিবাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আগে থেকেই এক দফার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই গণঅভ্যুত্থান বিএনপির দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলাফল। সংস্কার একবারে শেষ হওয়ার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার কি একবারে শেষ করার বিষয়? পরিবর্তনের দুটি পথ– একটি বিপ্লব, আরেকটি সংস্কার। আপনি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হলে খুব দ্রæত পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়, সবার সম্মতিতে হয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা