মাথাচাঁড়া দিচ্ছে না’গঞ্জ আওয়ামীলীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগকে সরব দেখা যাচ্ছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অতি গোপনে কয়েকজনে মিলে কেক কেটে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে। কেহ নির্জন কক্ষে আবার কেহ নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে কেক কেটে গান গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। যা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কোন খবরই নেই। আওয়ামীলীগ নেতারা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের উপস্থিতির জানান দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপন স্থান থেকে আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, আমাদের রক্তে আওয়ামীলীগ। আমরা আওয়ামীলীগকে ভুলতে পারব না। যত বাধাই আসুক আমরা আমাদের কৌশলে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আজ না হয় কাল একদিন আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে। আমরা সে অপেক্ষায় আছি। কারণ বর্তমান সরকার আমাদের উপর অন্যায় ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমরা রাজনীতি করে আসছি। কিভাবে রাজনীতি করতে হয় সে হিসাবও জানি। বর্তমান ইউনুস সরকার যতই চাপ প্রয়োগ করুক আমাদের থামাতে পারবে না। এদিকে সামাজিক মাধ্যাম ফেসবুকে স্থান পেয়েছে কয়েক স্থানের আওয়ামীলীগের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক আওয়ামীলীগে নেত্রী নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন এবং গান গেয়ে উল্লাস করেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায় কয়েকজন আওয়ামীলীগ কর্মী একটি নির্জন ঘরে কেক কেটে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। গত বছরের জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে জনগণের রোষানলে পড়েন। অবশেষে উপায়-অন্তর না পেয়ে গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের ফেলে নিজের বোনকে সাথে নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। এর পর অর্ন্তবর্তী সরকার গঠনের পর পতিত সরকারের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় করণ, হত্যা, গুম ও আয়না ঘরের মত টর্চার সেলের অস্তিত্ব বেরিয়ে আসে। একের পর এক মামলা হতে থাকে। মামলা গিয়ে গড়ায় আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও আওয়ামীলীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞাকে উপক্ষে করে আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময় ঝটিকা মিছিল। গোপন বৈঠক, বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করে আলোচনার জন্ম দিতে থাকে। আওয়ামী দোসররা জানান দেন এই বলে, শেখ হাসিনা পালালেও শেখ হাসিনার অনেক সৈনিক আজো সক্রিয় রয়েছে। আর আওয়ামী দোসরদের এ সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভারতে বসে পলাতক নেতারা উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন গণহত্যাকারী সংগঠন আওয়ামীলীগ এখনো কিভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে? আমরা মনে করি পুলিশ প্রশাসন একটু কঠোর হলে এসকল আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। তাদের ছাড় দিলে দিন দিন তারা গোপনে সংগঠিত হয়ে নারায়ণগঞ্জে যে কোন সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। কারণ তারা দিন দিনি সংগঠিত হচ্ছে। এখনই তাদের লাগাম টেনে ধরা জরুরী বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।