ত্যাগীরাই যুবদলে স্থান পাবে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত দুই বছরেও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি দিতে না পারার পেছনে জেলা আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এর মন্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষন করেছেন জেলা সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। এর আগে গত ২ বছরে জেলা যুবদলের পুর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি না দিতে পারার পেছনে কমিটির তিনজন নেতার সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। এক প্রতিক্রিয়ায় রনি জানান, জেলার আহবায়ক কি বলেছেন আমি সেই দিকে যাবো না। তবে আমি বলবো কমিটি না দিতে পারার পেছনে অনেক গুলো কারণ ছিল। গত ১৭ বছর আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছিলাম। কমিটি ঘোষণা হয়েছে প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। এর মধ্যে ৫১ সদস্যের পুর্নাঙ্গ কমিটি না দিতে পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমরা বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছি। বেশি ভাগ সময় আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। একটি আন্দোলন কর্মসূচির পর নতুন করে আরো মামলার আসামি হতে হয়েছে। মূলত এসব কারণেই কমিটি পুর্নাঙ্গ করতে পারিনি। তবে আশা করছি এখন আমরা কেন্দ্রের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি দিতে পারবো। কেমন নেতৃত্ব কমিটিতে আসতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে রনি বলেন, যারা বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছে, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে অবশ্যই তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। আর যারা আন্দোলনের সংগ্রামের সময় কক্সবাজারে গিয়ে রিলেক্স করেছে এমন ব্যক্তিদের কোনো অবস্থাতেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হবেনা। এমন অনেক ব্যক্তির ছবি আমাদের কাছে আছে যারা আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালীন সময় কক্সবাজারে গিয়ে অবকাশ যাপন করেছে। প্রসঙ্গত, একাধিবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কমটি পূর্ণাঙ্গ না করায় এবার সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতাকে সর্তক করে বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। সেই সাথে আগামী আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যত্যয় ঘটলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এর নির্দেশনায় সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক সদস্য সচিব, মশিউর রহমান রনি বরাবর ওই সতর্কীকরণ বার্তাটি ইস্যু করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, আপনাদের, ইতোপূর্বে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়ার পরও অদ্যাবদি জেলা যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করা সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ড বলে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি মনে করে। চুড়ান্ত সতর্কবার্তা হিসেবে আগামী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৫১ (একান্ন) সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন আপনাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এর ব্যত্যয় হলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদিকুর রহমান সাদেক বলেন, আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বাইরে আরো ৪৮জন যুক্ত করে ৫১ সদস্যের পুর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি দিতে বলা হয়েছে। আমরা আগামী ৭দিনের মধ্যে এটি দিয়ে দিবো বলে আশা রাখি ইনশাল্লাহ। গত ২ বছরেও ৫১ সদস্যের কমিটির দিতে না পারার পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে নানার রকমের ব্যস্ততা ছিল। এছাড়াও আমাদের নিজেদের মধ্যেও একটু সমন্বয়হীনতা ছিল। আশা করছি এবার আর সেটা থাকবে না আমরা কমিটি দিতে সফল হবো। ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলে আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ তিনটি পদে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ই-