আজ শুক্রবার | ৪ জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭ | সকাল ১০:১৯

অভ্যুত্থানের ১১ মাস পর সিদ্ধিরগঞ্জে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের

ডান্ডিবার্তা | ০৩ জুলাই, ২০২৫ | ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহতদের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও চারটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৭ ও ৩০ জুন চারটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বাদী হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৮), মুনজিল হোসেন (৫০), মো. আল আমিন (২৩) এবং মো. ওয়াজেদ আলী (৪০)। মামলার এজাহার অনুযায়ী, মো. আল আমিন দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলকে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকেও আসামি করা হয়েছে। মো. সিরাজুল ইসলাম দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন—একেএম শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান এবং শাহজালাল বাদল। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে। মুনজিল হোসেনের দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অজ্ঞাত ৭০-৮০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মো. ওয়াজেদ আলীর দায়ের করা মামলার আসামির তালিকাও আল আমিনের মামলার মতোই। এতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান এবং শাহজালাল বাদলকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায়ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বৃষ্টি হার্ডওয়ার দোকানের সামনে ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে মুনজিল হোসেনের ছেলে মো. সুজন খান (২৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন ২০ জুলাই বিকেল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানিনগর অংশে আন্দোলনরতদের সঙ্গে যোগ দেন সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই আলাউদ্দিন (৩৬)। সেদিন বিক্ষোভ দমন করতে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে গুলিবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়। এতে আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একইদিন ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আল আমিনের ছোট ভাই আব্দুস সালাম। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই দিন পর ওই ব্যাংক ভবন থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ওই দিনই ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ভবনের সামনে ওয়াজেদ আলীর ছোট ভাই সেলিম মÐলও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওসি শাহিনূর আলম বলেন, “চারটি মামলার মধ্যে একটি দায়ের হয়েছে ২৭ জুন, বাকি তিনটি ৩০ জুন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা