
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপিকে কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্র এখন প্রকাশ হতে শুরু করেছে। বিএনপিকে নির্বাচনে প্রতিহত করতে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছে ইসলামী আন্দোলন এর ন্যাপথ্যে জামায়াতের নাম শুনা যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা প্রকাশ্যে বিএনপির বিরোধীতা করছেন। আর এসকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনগুলি মাঠে নেমেছে। রাজধানীর বর্বরোচিত হত্যাকান্ডকে পূঁজি করে বিএনপিকে কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্র চলছে। বিভিন্ন ভাবে তারেক রহমানের নামে কুৎসাও রটানো হচ্ছে। এদিকে রাজধানীর নৃশংস হত্যাকাÐ নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন। তিনি মিটফোর্ড হত্যাকাÐ নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত তথ্য ও বাস্তবতা তুলে ধরতে গিয়ে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন তিনি। এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি এখন সময়ের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। গত সোমবার ড. মাহদী আমিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা জানান। মিটফোর্ড হত্যাকাÐ নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা নিয়ে তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিনের পোস্টটি হলো, হত্যাকাÐের ভিডিওতে যারা ইট ও পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে মারছে দেখা গিয়েছে, তারাই কি বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাকর্মী?
উত্তর: না, ভিডিও ফুটেজে যেসব হত্যাকারীকে দেখা গিয়েছে এবং বিএনপি যাদের বহিষ্কার করেছে—তারা ভিন্ন ব্যক্তি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে প্রকৃত খুনিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে সবাইকে দ্রæত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এই ঘটনায় বিএনপি যাদের বহিষ্কার করেছে, তারা কি ঘটনাস্থলে ছিল?
উত্তর: বিএনপি থেকে বহিষ্কৃতরা ঘটনাস্থলে ছিল না। একটি বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় মামলার এজাহারে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা থেকে অভিযুক্তদের তদন্তের আগেই বহিষ্কার করা হয়। একটি নিরপেক্ষ তদন্তই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করবে।
মর্মান্তিক ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছিল, তাদের সবাইকে কি পুলিশ গ্রেফতার করেছে?
উত্তর: ভিডিওতে ইট-পাথর দিয়ে মারতে থাকা সন্ত্রাসীদের পুলিশ এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। রহস্যজনকভাবে, ভিডিওতে দেখা খুনিদের সবার নাম মামলার এজাহারেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নিহতের পরিবারও বারবার হতাশা প্রকাশ করে বলেছে যে, মূল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছে এবং কীভাবে গ্রেফতার এড়িয়ে চলছে। ঠিক কি কারণে এমন পৈশাচিক হত্যা, এর পেছনে কারা রয়েছে, কীভাবে হত্যাকাÐ ভিডিও করা হলো, কারা অনলাইনে ছড়ানো শুরু করল— বিষয়গুলো উদঘাটন করা জরুরি।
চাঁদাবাজির কারণেই কি এই বর্বরতা?
উত্তর: পুলিশ ও স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা নয়। ব্যবসায়িক ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাÐ নিয়ে নিহতের পরিবারের বক্তব্য কী?
উত্তর: নিহতের পরিবার গণমাধ্যমে বলে, ‘দ্বিতীয়বার যে এজাহার রেডি করা হয়েছে, সেটায় তিনজন মূল আসামির নাম কেটে দিয়ে যারা এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িতই না, তাদের নাম জোর করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে আমার মা না বুঝে সিগনেচার করে ফেলেছেন। যারা এই ঘটনার মূল হোতা, তাদের বাদ দিয়ে নিরপরাধদের আসামি করা হয়েছে। ’
হত্যাকাÐ নিয়ে পুলিশের বক্তব্য কী?
উত্তর: লালবাগ বিভাগের পুলিশের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, ‘আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, একটি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে—এটি কারা করেছে? যারা অপরাধী, তাদের পরিচয় অপরাধের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে পারিনি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, কিন্তু তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। আমরা ভবিষ্যতে বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করব এবং যদি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তা অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। ’
এই ঘটনা কি সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর: না। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৯ জুলাই হত্যাকাÐের দুই দিন পর, ১১ তারিখ শুক্রবার জুমার নামাজের পর, বাংলাদেশের প্রাইম টাইমে ইন্টারনেটে ভিডিও ও তথ্য বিকৃতি ছড়ানো শুরু হয়। খুলনা, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশজুড়ে যে নৃশংস হত্যাকাÐ ও অরাজকতা ঘটে চলেছে, সেখানে এই গোষ্ঠীর নির্লিপ্ততা এবং একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে কেন অপতৎপরতা, সেই যৌক্তিক প্রশ্ন উঠেছে।
হত্যাকাÐকে কেন্দ্র করে যেসব ফটোকার্ড, ভিডিও ও ন্যারেটিভ আসতে থাকে, সেগুলো কি প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরে?
উত্তর: পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা মিসলিডিং ফটোকার্ডগুলো অনলাইনে ছড়ানো শুরু হয়। এটি প্রতীয়মান যে, অনলাইনে ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই প্রোপাগান্ডা ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে রাখা হয়েছিল।
এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কেন অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হলো?
উত্তর: শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় পদ থেকে অপসারণের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপকে স্বাগত না জানিয়ে, ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিএনপির জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করতে, গুজব ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বিষোদগার করা হয়েছে। শিষ্টাচার বহির্ভূত এই অপপ্রয়াস গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে যেকোনো অপপ্রচার, উসকানি বা ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে, সংঘাতের পথ পরিহার করে, বিএনপি দেশের স্থিতিশীলতা ও জনগণের নিরাপত্তা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সরকার কি যথাযথ তদন্ত, বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সক্ষমতা দেখাতে পারছে?
উত্তর: রাজধানীর জনবহুল এলাকায় নৃশংসভাবে একজন মানুষকে হত্যা করার ঘটনা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির শোচনীয় অবস্থাই নয়, বরং সার্বিক বিচারহীন সংস্কৃতির ভয়াবহ প্রতিফলন। একইভাবে উদ্বেগজনক হলো— এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু জায়গায় অশালীন আচরণ, হেট্রেড কনটেন্ট এবং ফেক ন্যারেটিভ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। জনগণ আশা করে, অন্তর্র্বতী সরকার সব অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯