
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
২৪ এর জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্লজ্জ বেহায়পনা আর তার নিয়ন্ত্রণাধীন তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুহুর্মুহু গুলির তাÐবে রীতিমতো রক্তাক্ত হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের রাজপথ। এই সময় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ছিল একের পর এক নিষ্পাপ শিশু, যারা রাজনীতি বোঝে না, শ্লোগান তোলে না তবুও রাষ্ট্রীয় গুলির নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর প্রাণহানী হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সেই আগ্রাসনে। এদের মধ্যে অন্যতম মাত্র ৬ বছর বয়সী রিয়া গোপ। গত বছরের ১৯ জুলাই নারায়নগঞ্জের নয়ামটি এলাকার নিজ বাসার ছাদে খেলছিলেন তিনি। সেসময়ই আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে রিয়ার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ জুলাই সে মৃত্যুবরণ করে। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় ১৯ জুলাই মাত্র চার বছর বয়সী ছোট্ট আহাদ মা-বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ৮ তলার বারান্দা থেকে সংঘর্ষ দেখছিল। তখনই আচমকা একটি গুলি তার চোখ ভেদ করে মাথার ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় মৃত্যু হয় তার। ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনা পালানোর পর সেই আনন্দে বাবার সঙ্গে উত্তরার রজপথে বিজয়ের আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছিলো ৬ বছর বয়সী জাবির। হঠাৎ একটি গুলি তার পায়ে লাগে। অবশেষে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তারও। সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ বছর বয়সী হোসাইন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনা যেনো আরও করুণ। বাবা আন্দোলনে গেলে তাকে খুঁজতে বের হয় শিশু হোসাইন। এসময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় সে। রাত ৮টার পর ঢাকা মেডিকেল মর্গে তার নিথর দেহ খুঁজে পান বাবা-মা। জুলাই এর সেই ভয়াবহ ১৯ তারিখ কোটা আন্দোলনের সময় সেন্ট জোসেফ স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ১০ বছর বয়সী রাকিব হাসান। অবশেষে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যু হয় তার। সেই ভয়াল ১৯ জুলাই সংঘর্ষ চলাকালে ঘরে গ্যাস ঢুকছিল। তাই জানালা বন্ধ করতে গিয়েছিলেন কাফরুল থানা এলাকার ১১ বছর বয়সী সামির। এসময় ঘাতকের ছোড়া গুলি চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছনে বেরিয়ে যায়। এই ফুল গুলোতো কোনো দল করত না, কোনো মিছিলের অংশও ছিল না। তবে ওদের কেন প্রাণ দিতে হলো? এই প্রশ্নের জবাব কে দিবে? গণহত্যাকারী হাসিনা তো পলাতক। অকালে যার জন্য ঝরে পড়েছে এই তরতাজা ফুলগুলো সেই হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার আহŸান এদেশের প্রতিটি আমজনতার। পরিশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত ফুলগুলোর জন্য।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
« জুলাই | সেপ্টেম্বর » |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯