আজ সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১১:৩৩

জুলাই অভ্যুত্থানে অকালে ঝরে পড়ে ফুলগুলো!

ডান্ডিবার্তা | ৩১ জুলাই, ২০২৫ | ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
২৪ এর জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্লজ্জ বেহায়পনা আর তার নিয়ন্ত্রণাধীন তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুহুর্মুহু গুলির তাÐবে রীতিমতো রক্তাক্ত হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের রাজপথ। এই সময় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ছিল একের পর এক নিষ্পাপ শিশু, যারা রাজনীতি বোঝে না, শ্লোগান তোলে না তবুও রাষ্ট্রীয় গুলির নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যমতে, কমপক্ষে ৩২ জন শিশুর প্রাণহানী হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সেই আগ্রাসনে। এদের মধ্যে অন্যতম মাত্র ৬ বছর বয়সী রিয়া গোপ। গত বছরের ১৯ জুলাই নারায়নগঞ্জের নয়ামটি এলাকার নিজ বাসার ছাদে খেলছিলেন তিনি। সেসময়ই আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে রিয়ার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ জুলাই সে মৃত্যুবরণ করে। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় ১৯ জুলাই মাত্র চার বছর বয়সী ছোট্ট আহাদ মা-বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ৮ তলার বারান্দা থেকে সংঘর্ষ দেখছিল। তখনই আচমকা একটি গুলি তার চোখ ভেদ করে মাথার ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় মৃত্যু হয় তার। ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনা পালানোর পর সেই আনন্দে বাবার সঙ্গে উত্তরার রজপথে বিজয়ের আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছিলো ৬ বছর বয়সী জাবির। হঠাৎ একটি গুলি তার পায়ে লাগে। অবশেষে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তারও। সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ বছর বয়সী হোসাইন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনা যেনো আরও করুণ। বাবা আন্দোলনে গেলে তাকে খুঁজতে বের হয় শিশু হোসাইন। এসময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় সে। রাত ৮টার পর ঢাকা মেডিকেল মর্গে তার নিথর দেহ খুঁজে পান বাবা-মা। জুলাই এর সেই ভয়াবহ ১৯ তারিখ কোটা আন্দোলনের সময় সেন্ট জোসেফ স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ১০ বছর বয়সী রাকিব হাসান। অবশেষে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যু হয় তার। সেই ভয়াল ১৯ জুলাই সংঘর্ষ চলাকালে ঘরে গ্যাস ঢুকছিল। তাই জানালা বন্ধ করতে গিয়েছিলেন কাফরুল থানা এলাকার ১১ বছর বয়সী সামির। এসময় ঘাতকের ছোড়া গুলি চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছনে বেরিয়ে যায়। এই ফুল গুলোতো কোনো দল করত না, কোনো মিছিলের অংশও ছিল না। তবে ওদের কেন প্রাণ দিতে হলো? এই প্রশ্নের জবাব কে দিবে? গণহত্যাকারী হাসিনা তো পলাতক। অকালে যার জন্য ঝরে পড়েছে এই তরতাজা ফুলগুলো সেই হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার আহŸান এদেশের প্রতিটি আমজনতার। পরিশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত ফুলগুলোর জন্য।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা