বেপরোয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী দোসররা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ক্ষমতা হারিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামীলীগ। এবার তারা জঙ্গী কায়দায় দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা বিভিন্ন ভাবে জঙ্গী প্রশিক্ষনও নিতে শুরু করেছে। গত বছরের ৫ আগষ্টে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আওয়ামী দোসররাও পালিয়ে যায়। যারা দেশের বাইরে চলে গেছে তারা সেখানে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আর সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। যা ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়ে গেছে। আওয়ামী দোসররা দীর্ঘ দিন পলাতক ও আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি তারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ২ মাস ধরে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরে তাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তবে তারা গ্রেফতারের ভয়ে নিজ বাড়িতে অকস্থান না করে রাতে গোপন স্থানে অবস্থান করে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের একাধিক আওয়ামী দোসর গোপন বৈঠক থেকে শুরু করে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এ আগষ্টে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে বলেও গোয়েন্দা সংস্থা খবর পেয়েছে। যার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। এদিকে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের মেজর সাদিক নামে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এমন একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেজর সাদিককে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, তারপরেও আমি বলব, যে এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে সেনাবাহিনী হেফাজতে আছে এবং তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণ হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে এর বেশি এ মূহূর্তে বলা আমার মনে হয় সমীচীন হবে না। গোপালগঞ্জের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, গোপালগঞ্জের ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রথম কথা হচ্ছে প্রত্যেকটা জীবন মূল্যবান। কোন জীবনহানি ঘটবে যে কোনো কারণেই হোক, এটা কখনোই আমরা কাম্য করি না, আশাও করি না। কিন্তু গোপালগঞ্জে যে ঘটনাটি হয়েছে সেটি দুঃখজনক। কিন্তু কোন প্রেক্ষাপটে ঘটেছে, কেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বল প্রয়োগ করতে হয়েছিল সে ব্যাপারেও সরকারি পর্যায়ে একটি উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে গোপালগঞ্জে এসসিপির সমাবেশ ও পদযাত্রাকে ঘীরে যে তান্ডব আওয়ামীলীগ দেখিয়েছে তাতে আওয়ামীলীগ বুঝাতে চেয়েছে তারা এখনো শক্তিশালী। তারা যে কোন সময় যে কোন কাজ করতে পারে। তবে দেশের প্রতিটি জেলায় আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে জঙ্গী দমন নাটক সাজিয়েছে সেই কায়দায় তারা অবর্তীণ হয়েছে। তারা বুঝে গেছে কিভাবে জঙ্গী তৎপরতা চালাতে হয়। কারণ তারা আগে থেকেই জঙ্গী কায়দায় চলাচলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আওয়ামীলীগ আগে থেকেই চতুর। তারা বিএনপিকে বেকায়দায় বিএনপির শাসনামলে ৬৩ জেলায় তারা জঙ্গী নাটক সাজিয়ে বাজি ফাঁটায়। এর পর তারা ক্ষমতায় এসে জঙ্গী দমনের নামে তাদের বিরোধীদের হত্যাসহ ক্ষমতায় টিকে থাকার নানা কুট কৌশল করে। এখন তারা ক্ষমতা হারিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য।