অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিএনপি নেতারা বিপকে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে অনেক চাঁদাবাজ আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসকল অভিজ্ঞ চাঁদাবাজদের দিয়েই বিএনপির কতিপয় নেতা চাঁদাবাজি করান বলেও অভিযোগ রয়েছে। যারা বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে দাপটের সাথে ওসমান বলয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াত। সরকার পতনের পর চাঁদাবাজদের অনেকে বোল পাল্টিয়ে বিএনপির আশ্রয়ে চলে এসেছে। তারা যেমন নিজেদের রক্ষা করছে বিএনপিতে আশ্রয় নিয়ে তেমনই তাদের অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দিচ্ছে নেতাদের কাছে। কিভাবে চাঁদা আদায় করা যায়। ওসমান বলয়ের চাঁদাবাজদের নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে সাংস্কৃতিক ব্যক্তত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে দুর্বৃত্ত, মাফিয়া, গডফাদারদের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের লুটপাটের জায়গাগুলো বিএনপির নতুন সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। ওসমানদের অনেক সন্ত্রাসী বিএনপিতে আশ্রয় নিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। প্রশাসন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তার মতে বিএনপির কিছু অর্থলোভী নেতার হাত ধরে ওসমান অনুসারি অনেক সন্ত্রাসী বিএনপিতে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। যার কারণে বিএনপি বদনাম গুছাঁতে পারছে না। এছাড়াও বিগত স্বৈরাচারের আমলে অনেক বিএনপি নেতা তাদের চাটুকারিতা করে অর্থ উপার্যন করেছে। আজ তারাই আবার ওসমানদের বিরুদ্ধে গাল ভরে বক্তব্য রাখে। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মধ্যে গুদ্ধি অভিযান জুরুরী হয়ে পড়ছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন। বিএনপি নেতারা বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে পরিশুদ্ধ করা না হলে এর খেসারত আমাদের দিতে হবে। কিছু দালাল ও চাকুকারের কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আজ এ অবস্থা। আর এ জন্য বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা রয়েছে বেকায়দায়। কারণ বিএনপির উপর কোন বদনাম এলে তাদের কষ্ট হয়। এ জন্য বিএনপি থেকে আওয়ামী তথা ওসমান দোসরদের সরাতে হবে। তারা বিএনপির ভাল করার জন্য নয়। তারা বিএনপিতে এসে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। এটাও আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে মনে করেন অনেকে। তাই বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের সরিয়ে বিএনপিকে পরিচ্ছন্ন করার দাবি ত্যাগী নেতাদের।