রূপগঞ্জে সরকারি সাতটি খাল দখল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সরকারি সাতটি খাল বালু ফেলে ভরাট করার অভিযোগে পূর্বাচল ইস্ট উড সিটি নামে একটি আবাসন প্রকল্পে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদরদপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসেন। স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চন পৌরসভা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হাটাবো টেকপাড়া, কালাদি, নলপাথর, নরাবো, কোশাব, আইতলা, ডুলুরদিয়া গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। ছোটবড় সব মিলিয়ে প্রায় সাতটি খাল দিয়ে এসব গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। ইস্ট উড সিটি নামের একটি আবাসন প্রকল্প খালগুলো ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, হান্ডি মার্কেট থেকে ডেওরি বিল পর্যন্ত খাল, মুকসুর বাড়ি থেকে মগার বাড়ি পর্যন্ত চিপা খাল, কালাদি থেকে ভুলতা বড় খাল, বাড়ৈপাড় থেকে ডুলুরদিয়া হয়ে নলপাথর খাল, ইকবালেরটেক থেকে নরাব খাল এবং নরাব থেকে নলপাথর খাল বন্ধ করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর পূর্বাচল ইস্ট উড সিটিতে অভিযান পরিচালনা করে খাল ভরাটের সত্যতা পায়। এ সময় প্রশাসন কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে দখলমুক্ত করে। অন্য খালগুলো দখল মুক্ত করতে ইস্ট উড সিটিকে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ইস্ট উড আবাসন প্রকল্পের এমডি কামাল উদ্দিন বলেন, আমাকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের আগেই সরকারি খাল খনন করে দেব। নিয়মকানুন মেনে সব রকম কার্যক্রম চালাব। ঢাকা পরিবেশ ছাড়পত্র সদরদপ্তরের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মোহাম্মদ শামীম বলেন, ইস্ট উড আবাসন কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে খাল ভরাটের সত্যতা পাই। কয়েকটি খাল ভেকু দিয়ে খনন করে দখলমুক্ত কার্যকক্রম শুরু করা হয়। কোম্পানিকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে, দখলকৃত সবগুলো খাল খনন করে দিতে।