আজ শনিবার | ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২২ ভাদ্র ১৪৩২ | ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ৩:০২

বির্তকিত সার্ভেয়ার মামুন বন্দরে বদলী

ডান্ডিবার্তা | ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
পলাতক এমপি শামীম ওসমানের শিষ্য সার্ভেয়ার মামুন এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হলেও নুন্যতম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি জেলা প্রশাসন বা দুদুক। তবে তাকে বদলী করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করনে ২১/২০২১-২০২২ নং এলএ কেস মুলে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে। ২০২১ সালে শুরু করা এলএ কেসটি ২০২২ সালে ৪(১) ধারায় নোটিশ মাঠে জারি করা হয়। ৪(১) ধারা নোটিশ জারির পর ৪(৭) ধারা মোতাবেক নোটিশ জারির পর অসৎ উদ্দেশ্যে সরেজমিনে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে। বর্তমানে নাল বা ভিটি থাকলেও সেখানে স্থপনা নির্মান বা শ্রেণির পরিবর্তন বা বাণিজ্যিক ভূমি দেখিয়ে যত তদন্তের ঘুষের বিনিময়ে ৪(১) নোটিশ জারির দীর্ঘ দিন পর বাস্তব শ্রেণি পরিবর্তন করে বানিজ্যিক শ্রেণি দেখানো হয়েছে। যেখানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা সার্ভেয়ার মামুন গ্রহন করেছেন বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ে জনৈক মো: একরামুল হক পিতা মৃত আব্দুল কাদির ভূইয়ার আপত্তির প্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয়ের ডকেট নাম্বর: ৪০৫৫, গত ৯আগষ্ট ভূমি মন্ত্রনালয়ের ২০৫৪ নং স্মারক মূলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনাকে প্রেরণ করা হয়। তার প্রেক্ষিতে গত ৯আগষ্ট ২০৫৪/১(৩) নম্বর স্মারক মূলে এলএ কেস নম্বর ২১/২০২১-২০২২ এর দুর্নীতির বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। মার্চ মাসে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হলেও মামুনের টাকার জোর আর তার অশুভ শক্তির ইশারায় এ পর্যন্ত ভূমিমন্ত্রনালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়নি। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে মামুনের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে খাদুন মৌজা, সিটি গ্রুপের বরপা মৌজা হাজী মোখলেছুর রহমান এর আড়িয়াব মৌজার মোঃ শাহিন ভূইয়ার আধুরিয়া মৌজা, মাহনা মৌজা, কেশরাব মৌজায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাস্তব নাল/ভিটি জমির শ্রেনি পরিবর্তন করে বানিজ্যিক জমি বানিয়ে ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন সার্ভেয়ার মামুন। তদন্ত কমিটির তথ্য মতে কিছু কিছু ভূমি বাস্তব শ্রেণি নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম অসংগতি রয়েছে। বর্তমান জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া যোগদানের পর ওই দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার মামুনের এসব দুর্নীতির কথা জানার পর তাকে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি করেন। জনমনে প্রশ্ন এত দুর্নীতি করার পরও আওয়ামী দোসর মামুন স্বপদে চাকরি করে কিসের ক্ষমতাবলে। সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সার্ভেয়ার মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হওয়ার কথা, অথচ টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে রেখেছে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ মামুন। মামুন ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় যোগদান করেছিল শামীম ওসমানের অনুসারী হিসেবে। চতুর মামুন তৎকালীন এমুই শামীম ওসমানের নাম ভাঙিয়ে সীমাহীন অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছে। দীর্ঘ ৬ বছর বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে গত ৭ জুলাই তাকে ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহিমা আক্তার ইতি বলেন, ডিসি অফিস থেকে বদলী সুত্রে সার্ভেয়ার মামুন এখানে যোগদান করেছে। কিন্তু তার বিষয়ে এসব অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। তবে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সত্যতা থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে সার্ভেয়ার মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা