
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়কালকে বিএনপি তার রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করে। দলটির অভিযোগ, এই সময়ে তাদের ওপর রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রমতে, এই সময়কালে তাদের দলের প্রায় ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লক্ষের বেশি ‘মিথ্যা’ ও ‘গায়েবি’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তি বা বিদেশে থাকা কর্মীদের নামেও মামলা দায়েরের মতো ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ বছর বিএনপির জন্য কেবল ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়কাল ছিল না; বরং ছিল এক বহুমাত্রিক রাজনৈতিক নিগ্রহের উপাখ্যান, যার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিলেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবার। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মতে, তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কারারুদ্ধ করাই হয়নি, তার রাজনৈতিক কণ্ঠরোধ করতে নেওয়া হয়েছিল দৃশ্যমান সব পদক্ষেপ। কখনো বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে দিনের পর দিন বাসভবন ঘিরে রেখে তাকে কার্যকর গৃহবন্দি করা, আবার কখনো প্রকাশ্য রাজপথে তার গাড়িবহরে অতর্কিত হামলার মতো ঘটনা ছিল তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার এক পরিকল্পিত চিত্রনাট্যের অংশ। এই চাপ কেবল তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছিল তার পরিবার পর্যন্ত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে এক প্রকার নির্বাসিত জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়, তার অনুপস্থিতিতেই দেওয়া হয় অসংখ্য মামলায় দ-াদেশ। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নির্বাসনে অকালমৃত্যু এই পারিবারিক ট্র্যাজেডির করুণতম দৃশ্য। শীর্ষ নেতৃত্বকে এভাবে কোণঠাসা করার পাশাপাশি তৃণমূলের ওপরও নেমে আসে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের স্টিমরোলার। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যমতে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলার পাহাড় তৈরি করা হয়, যেখানে মৃত ব্যক্তি বা প্রবাসীরাও আসামি হওয়া থেকে রেহাই পাননি। তবে সবচেয়ে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল ‘গুম’ বা বলপূর্বক অন্তর্ধানের কৌশল। সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর অন্তরাল হয়ে যাওয়া কেবল ব্যক্তিবিশেষের ট্র্যাজেডি ছিল না; ছিল দলের প্রতিটি কর্মীর মধ্যে এক শীতল ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার এক নির্মম কৌশল। বস্তুত, শীর্ষ নেতৃত্বকে অবরুদ্ধ করে, পরিবারকে বিপর্যস্ত করে এবং তৃণমূলকে মামলা ও গুমের ভয়ে জর্জরিত করে বিএনপিকে একটি কা-ারিহীন, ছত্রভঙ্গ এবং রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু শক্তিতে পরিণত করাই ছিল এই দীর্ঘ দমন-অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিকভাবে প্রায় নির্বাসিত বিএনপির জন্য কেবল একটি সুযোগ ছিল না; ছিল এক অভাবনীয় পুনর্জন্মের মুহূর্ত। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতায়, দেশের বৃহত্তম সংগঠিত শক্তি হিসেবে বিএনপি লাভ করে ইতিহাসের এক অনন্য সন্ধিক্ষণ। দলটি এই মুহূর্তটিকে কেবলই ক্ষমতার পালাবদল হিসেবে না দেখে, একে নিজেদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এক নতুন রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের সোপান হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের গনমাধ্যম এখন স্বাধীন হলেও জুলাই বিপ্লবের পর অনেক মিডিয়া হাউজের মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষায় পেশাদার সাংবাদিকদের নানা কায়দায় যন্ত্রনা দিয়ে চলেছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মিডিয়া হাউজগুলির মালিকরা দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন অজুহাতে পেশাদার সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুত আবার কাউকে কাউকে অবসরে যেতে বাধ্য করছে। অতীতে যেসক পেশাদার সাংবাদিক পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বছরের পর […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯