
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলম নানান অপকর্ম করেও এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল ও এই ইউনিয়নের ব্যবসায়ী সমাজ। বিশেষ করে ট্রেড লাইসেন্সে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত ফি অর্থাৎ ঘুষ বাগিয়ে নিতে না পেরে ইটভাটার মালিকদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মনজুর আলম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইটভাটার মালিকরা। ভূক্তভোগী ইটভাটার মালিকরা জানান, ‘আমরা প্রতিবছর মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ণ করে আসছি। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে পরিষদের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। যা সম্পূর্ণ বে-আইনী। গত অর্থবছরে তিনি পরিষদের নির্ধারিত ফি ২০ হাজার ২ শত ৩০ টাকা হলেও তিনি প্রতিটি ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন, এমনকি কারো কারো কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকার নেয়ার কথাও শোনা যায়। বর্তমান অর্থবছরে তিনি আরোও বেপরোয়া আচরণ করছেন। এখনোও পর্যন্ত অদৃশ্য কারণে তিনি ইটভাটার কোন লাইসেন্স নবায়ন করছেন না। তিনি প্রতিটি ইটভাটা থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ঘুষ দাবি করছেন। এজন্য আমাদের সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কার্যক্রম আটকে আছে। বিষয়টি ইতিপূর্বে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তাতে করে মনজুর আলম আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক শুনানী করতে গত মঙ্গলবার দুপুরে মনজুর আলম ও আমাদেরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডাকেন এবং শুনানী করেন। শুনানী শেষে সেখান থেকে বের হয়ে মনজুর আলম ইটভাটার মালিকদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শণ করেন এবং বলে যে, ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে নেয় দেখবো এবং মুছাপুরের মাটিতে কিভাবে ব্যবসা করে সেটাও তিনি দেখে নিবেন’। ভূক্তভোগী ইউনিয়নবাসী জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মনজু ২ বার মুসাপুর ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচিত হন। নিজেকে এমপি সেলিম ওসমানের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, নিরিহ মানুষের উপর জুলুম ও এলাকায় নানান অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। ২য় বার মেম্বার নির্বাচনে তার ভরাডুবি হবার আশংকা ছিলো, সে নির্বাচনে সেলিম ওসমানের ম্যাকানিজমে সে মেম্বার নির্বাচিত হন। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে চেয়ারম্যান মাকসুদ পদত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পায় মনজুর। এ সুযোগকে অবৈধভাবে ইউনিয়ন পরিষদকে ব্যবহার শুরু করতে থাকেন মনজুর মেম্বার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অতিরিক্ত ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়, বিচার ও মামলা বাণিজ্য এবং বালু মহলে চাঁদাবাজির মতো অপকর্ম করে মুসাপুরকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জাতীয় পার্টি নেতা সেজে এবং সেলিম ওসমানের ডাকে জাতীয় পার্টির অনেক মিটিং মিছিলে লোকজন জড়ো করে স্লোগান দিয়ে অংশ নিয়ে এখন সুবিধা বুঝে বিএনপি নেতা সাজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ব্যপারে মুছাপুরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমি কার কাছে ২ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছি তার প্রমাণ দাবি করছি। আমি সরকারের নিয়মের বাইরে কোন কাজ করতে নারাজ। আমি কাউকে অবৈধ সুবিধা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও প্রভাকান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বন্দরের মধ্যে একমাত্র মুছাপুরই ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে সরকারের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। যারা সরকারের নিয়ন মত কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হয় তাদের লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স দেয়া যায় না। মুছাপুরে প্রায় ২ হাজার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে তাদের সমস্য হয়না তারা নিয়ম মত লাইসেন্স পাচ্ছে আর মাত্র ১৫টি ইটভাটা তারা কেন পাচ্ছে না। যেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করা হয় তাই তাদের সঠিক কাজপত্র অনলাইনে জমা দেয়ার পর যদি কেহ ট্রেড লাইসেন্স না পয় তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক। আর গত মঙ্গলবার ডিসি অফিসে শুনানীতে তারা ১৫/১৬জন অভিযোগকারী ছিল আর আমি মাত্র একা ছিলাম। আমি এতগুলি লোককে কিভাবে হুমকি দেব। এটা মিথ্যা ও সাজানো। আমি সরকারের ও জনগণের স্বার্থে বাইরে কোন কাজ করি না বিধায় কেহ অনৈতিক সুবিধা নিতে পারে না বলেই এ ধরনের প্রভাকান্ডা ছড়াচ্ছে।
হাবিবুর রহমান বাদল বাংলাদেশের গনমাধ্যম এখন স্বাধীন হলেও জুলাই বিপ্লবের পর অনেক মিডিয়া হাউজের মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষায় পেশাদার সাংবাদিকদের নানা কায়দায় যন্ত্রনা দিয়ে চলেছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মিডিয়া হাউজগুলির মালিকরা দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন অজুহাতে পেশাদার সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুত আবার কাউকে কাউকে অবসরে যেতে বাধ্য করছে। অতীতে যেসক পেশাদার সাংবাদিক পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বছরের পর […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯