আজ সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১১:৫৩

বন্দরে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শিশু কিশোররা

ডান্ডিবার্তা | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
মোবাইল গেইমস ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে বন্দরে যুব সমাজ। বন্দর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন পাড়া মহল্লার শিশু-কিশোররা পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনের সিংহভাগ সময়ই ব্যয় করছে অনলাইন জুয়া ও গেমিংয়ের পিছনে। এছাড়া অনলাইনের রেটিং সাইট গুলোতেও রয়েছে তাদের অবাধ চলাচল। অনেকেই জুয়ার-টাকা যোগার করতে অল্প বয়সেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েছে চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। বন্দর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহর ও গ্রামের প্রায় সবখানেই কিশোররা দল বেঁধে মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকার দৃশ্য। যে বয়সে মাঠে খেলাধুলা করার কথা, সেখানে তারা ডুবে রয়েছে মোবাইল গেমের নেশায়। শিশু-কিশোরদের প্রচন্ড আসক্তি বেড়েছে মোবাইল গেমিংয়ের প্রতি। বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে তাদের মেবাইল গেমের পিছনে। মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে কেউ কেউ খরচ করছে হাজার হাজার টাকাও। অনলাইনে বাজি খেলার সংখ্যাটাও কম নয়। বিভিন্ন ধরনের রেটিং সাইট তৈরি হচ্ছে কিশোরদের টার্গেট করে। দ্রুত সময়ে কয়েকগুণ টাকার প্রলোভনে পা দিচ্ছে অনেকেই এই গেইমে। মোবাইল গেমিং ও জুয়ায় আসক্ত একাধিক তরুণ জানায়, গেমিংয়ের আপডেট ভার্সন ইন্সটলেশনের জন্য তারা মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে থাকে। টপ-আপ করার নামে ধাপে ধাপে অর্থ ব্যয় করে কিনতে হয় গেমসের এক একটি ফিচার সুবিধা। এসব টাকা যোগার করতে অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে কাজে নেমে পড়েছে। কেউ কেউ দামি মোবাইল কেনার আশায় পাড়ি জমিয়েছে রাজধানী ঢাকায়। উঠতি বয়সীদের এমন মোবাইল আসক্তিতে শংকায় অভিভাবকরাও। আগামী প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষায় সরকারী পদক্ষেপের দাবি করেন অভিভাবকরা। তাদের বেশিরভাগ মোবাইল গেম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও ভিপিএন নামের একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে তাতে যুক্ত থাকে এসব শিশু-কিশোর ও কিশোরিরাও। একজন অভিভাবক জানান, অনলাইন তার জুয়া বা মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে শিশু-কিশোর তাদের মেধা শক্তি হারাচ্ছে। নতুন এ মোবাইল গেমিং আতংক থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন বলে মনে করেছেন ওই অভিভাবক। এদিকে অনেক যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিও এ অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে বসতবাড়ি, জমিসহ সব কিছু শেষ করে ঋণের বোঝা নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে অভিভাবক মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা