আজ সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ৯:১৫

মেহেদী রাঙা হাতে সংসার হলো না জান্নাতুলের

ডান্ডিবার্তা | ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল ছয় মাস আগেই। রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছিল ভালোবাসার মানুষ প্রিয় সহপাঠীর সঙ্গে। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি ছিল সেই প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন ধুমধাম আয়োজনে নতুন জীবনে পা রাখার কথা ছিল জান্নাতুল ফেরদৌসের। কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ কেবলই অতীত। মেহেদী রাঙা হাত আর নতুন জীবনের আশায় সাজানো চোখ, সবই এখন দগদগে শোকের রঙে রঙিন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস দায়িত্ব পালন করছিলেন জাকসু নির্বাচনে। প্রীতিলতা হলে পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সকালে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে গিয়ে হঠাৎ সিনেট ভবনের সামনে পড়ে যান। দ্রুত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর খবরে বিধ্বস্ত জান্নাতুলের পরিবার। তার বাবা-মা যেন দিশাহারা। একমাত্র সন্তানের এমন করুণ বিদায়ে বাকরুদ্ধ সবাই। জান্নাতুলের বাবা রুমী খন্দকার পাবনার পরিচিত সাংবাদিক। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি। এক সময় ছিলেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি। মেয়ের মৃত্যুর শোক যেন তাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, জান্নাতুল ছিলেন তার চোখের মণি, সাধনার সন্তান। উৎপল মীর্জা মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো চিফ এবং এক সময়ের পাবনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রুমী ভাই একেবারে ভেঙে পড়েছেন। মেয়ে ছিল তার সমস্ত গর্ব আর ভালোবাসা। ছয় মাস আগে জান্নাতুলের বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। পরের বছর জানুয়ারিতে আয়োজন করে বিয়ের কথা ছিল। কে জানত এর আগেই জীবনের ইতি টেনে চলে যাবে মেয়েটি!’ স্বজনদের চোখে এখন শুধুই অশ্রু আর স্মৃতির মিছিল। তারা জানান, ঢাকায় গেলে জান্নাতুলের বাসায়ই উঠতেন বাবা-মা। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী, শান্ত, ভদ্র ছিল সে। একাডেমিক ফলাফল ছিল ঈর্ষণীয়। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি দুটোতেই পেয়েছিলেন গোল্ডেন এ প্লাস। ২০১২ সালে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে। সেখান থেকেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন নিজের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়েই। পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রোখসানা খানম ডেইজি বলেন, ‘জান্নাতুল ছিল খুব শান্ত স্বভাবের। অসাধারণ মেধাবী। এমন মৃত্যু কল্পনাও করা যায় না। আমরা শোকস্তব্ধ।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা