আজ সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১১:৩৯

ফতুল্লায় ট্যাটু রিয়াদ ও শেরু বাবুর জমজমাট মাদক ব্যবসা

ডান্ডিবার্তা | ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দাপা ও রেলষ্টেশন এলাকাটি খেতাব পাওয়া একটি অন্যতম মাদকের জোন। যেখানে মাদকের ছড়াছড়ি এতটাই মারাত্মক তা রোধে প্রশাসনের নিবর ভুমিকা আর স্থানীয় বিশেষ ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা যেন তাদেরকে আরো ব্যাপক উৎসাহ প্রদানে ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। যার ফলে মাদকের বিরুদ্ধে যোঘনা কিংবা তা নির্মূলে সম্মিলিত নিরবতাকে দায়ী করছেন সেখানে বসবাসকারী সাধারন মানুষ। ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের চনপাড়ার পর অন্যতম মাদকের ঘাটি হচ্ছে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর, আলীগঞ্জ ও রেলষ্টেশন এলাকাগুলো। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের মাদকদ্রব্য। এখানে সর্বাধিক বিক্রিত মাদকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাজাঁ। প্রতিদিন প্রচুর গাজাঁ বিক্রি হচ্ছে এ তিনটি এলাকার কয়েকটি স্পটে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতিদিন গাজাঁ সংগ্রহ করছে আলোচিত মাদক বিক্রেতা বাবু ওরফে শেরু বাবু ওরফে চুইল্লা বাবু এবং রিয়াদ ওরফে ট্যাটু রিয়াদের কাছ থেকে। তাদের অন্যতম সহযোদ্ধা হচ্ছে সাজ্জাদ এবং হাসান। বিগত আওয়ামীলীগের সময় শেরু বাবু এবং হাসান আওয়ামীলেিগর মীর সোহেলের সাপোর্ট নিয়ে মাদক বিক্রি করেছে আর বর্তমানে নামধারী কিছু বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় তা অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখিত খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বোবা। যাদেরকে প্রতিদিন গাজাঁ সাপ্লাই করছেন রিয়াদ ওরফে ট্যাটু রিয়াদ এবং শেরু বাবু। তাদের উভয়ের কাছ থেকে মাসে দুইভাবে বিভক্ত হয়ে গাজাঁ সংগ্রহ করছেন বোবা ও অন্যান্য খুচরা মাদক বিক্রেতারা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বোবা মাদক বিক্রেতা কিংবা অন্যান্য মাদক বিক্রেতারা কাছ কাছ থেকে কিভাবে এবং কতদিন গাজাঁ সংগ্রহ করবে তাও নির্ধারন করে দেন একজন বিশেষ ব্যক্তি। এছাড়াও কাকে কত টাকা করে মাসোহারা দিতে হবে তাও নির্ধারন করে দিয়েছেন উক্ত বিশেষ ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানান, শেরু বাবু নিজেকে একজন সিমেন্টর দোকানের কর্মচারীর ভাব দেখিয়ে অন্তরালে নিয়মিতভাবে গাজাঁ সাপ্লাই দিচ্ছেন প্রতিটি খুচরা মাদক বিক্রেতার কাছে। আর রিয়াদ ওরফে ট্যাটু রিয়াদ একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় একই ভাবে গাজাঁ সাপ্লাই করছেন প্রতিটি খুচরা বিক্রেতার কাছে। তারা উভয়ে প্রতিদিন গড়ে একশত কেজি গাজাঁ সাপ্লাই করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টের পর ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পাশে কবরস্থান এর সামনে থেকে ২শত কেজি গাজাঁসহ সাজ্জাদ ও হোসানকে আটক করেছিলো আইন-শৃংখলা বাহিনী। যৎসামান্য পরিমান গাজাঁ দিয়ে মামলা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই বেড়িয়ে যায় তারা। এর আগে পিলকুনি এলাকায় ৯০০ বোতল ফেন্মিডিলসহ ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামরুলের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো সাজ্জাদ ও হাসান। পরবর্তীতে তারা শেরু বাবু ও রিয়াদের সাথে একত্রিত হয়ে পুরোদমে রেলষ্টেশন, দাপা ইদ্রাকপুর ও আলীগঞ্জের প্রতিটি স্পটেই গাজাঁ সাপ্লাই শুরু করেন যা এখনও পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। শেরু বাবুও ইতিপুর্বে ইয়াবা ও গাজাঁসহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলো। তাদের দাবী, স্থানীয় নামধারী বিএনপি নেতা, বিশেষ ব্যক্তি, পুলিশের সোর্স এর সার্বিক সহযোগিতা মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যেই মাদকের আখড়া গড়ে তুলেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো মামলায় হয়রানীর ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখে। গত ১৩ মাসে এ সকল মাদকের ডিলার ও সাপ্লাইয়ারা মাদক বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন। পাশাপাশি যারা এদেরকে সহযোগিতা করছেন তারা প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছেন বলে জানান। স্থানীয়রা অনতিবিলম্বে মাদক সাপ্লাইয়ার রিয়াদ ওরফে ট্যাটু রিয়াদ -বাবু ওরফে শেরু বাবু ওরফে চুইল্লা বাবু গ্রেফতার এবং তাদেরকে সহযোগিতাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং উক্ত এলাকার মাদক স্পট বন্ধে থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-১১’র সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা