আজ সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১১:৫৩

বন্দরে সম্পত্তির জন্য বাবাকে হত্যার চেষ্টা

ডান্ডিবার্তা | ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দ পিচকামতাল গ্রামে কৌশলে বাবা হযরত আলীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড বড় ছেলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এদিকে বিষয়টি জানার পর সন্তানদের জমি ফেরতের অনুরোধ করলে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ওই ছেলে ও তার স্ত্রী। উপায় না পেয়ে ভূক্তভোগী বাবা হযরত আলী বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, তার বড় ছেলে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম এবং তাদের সহযোগী মাকসুদ ও লিটনের বিরুদ্ধে। তার আরো দুই ছেলে পাখি মিয়া (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩৮) দুবাই প্রবাসী। তারা বিদেশে থাকায় বড় ছেলে মিজান তার কাছ থেকে কৌশলে ৬৮ শতাংশ সম্পত্তি লিখে নেয়। তিনি আরও বলেন, গত ২৮ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছেলে নিজামের বাড়ীতে গিয়া দলিলের কপি চাহিলে তাকে মারধর ও গলাচেপে গত্যার চেষ্টা করে। তার ছেলে মিজান রাজাকার পুত্র মুছাপুর ইউনিয়ন ও উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে এই সকল অপকর্ম করছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ মা-বাবা ভাই-বোন থেকে শুরু করে এলাকার নিরহ মানুষ। নিরীহ মানুষের জায়গা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক নামমাত্র টাকা নিয়ে লিখে নিয়ে যায়। তার রয়েছে বিশাল বাহিনী তার ভয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। শুধু তাই না পরের জায়গা জমি আত্মসাত করতে করতে এখন আপন বৃদ্ধ বাবাকে মারধর দুই ভাই ও বোনকে না দিয়ে বাড়ি ও ফসলি সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে যায়। ভূক্তভোগী হযরত আলীর স্ত্রী ও মিজানুর রহমানের মা বৃদ্ধ আয়েশা বেগম বলেন, আমাদের বড় পোলা মিজান আমার স্বামীকে মিথ্যা কথা বলে বিদেশে থাকা দুই পোলা ও এক মেয়েকে না জানিয়ে বাড়ি ও জমিসহ ৬৮ শতাংশ জায়গা কৌশলে লেইক্কা লইয়া গেছে। আর আমার জমি ফেরত চাইলে পোলা ও তার বউ আমাকে মারধর করে। আমরা মাকসুদ চেয়ারম্যান ও মনির মেম্বারের কাছে কয়েকবার বিচার দিলেও তারা প্রতিকার করেননি। কারন আমার পোলা মাকসুদ চেয়ারম্যানের লোক। সেই প্রভাব খাটিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বাদী ও বিবাদীর সাথে কথাও বলেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা