আজ রবিবার | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ | ৫ রবিউস সানি ১৪৪৭ | রাত ১:০৪

না’গঞ্জ বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে

ডান্ডিবার্তা | ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে উঠছে। দলের মধ্যে নেই চেইন অব কমান্ড। আর নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট কেই কাউকে মানছে না। আর দলের নির্দশনা না নিয়েই এখন সকলেই প্রার্থী। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতারও এমপি প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে বসে আছেন। যাদের কেহ চিনতনা বা অনক সময় রাজনীতিতে তাদের মুখ দেখেনি তারাও এখন এমপি প্রার্থী। দলের কর্তৃত্ব এখন আর একক হাতে নেই। তা একাধিক হাতে ঘুরছে। আর সকলেই নিজেদের ত্যাগী নেতা বলে আখ্যায়িত করে মুখে ফেনা তুলছেন। সবমিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে সীমানা পরিবর্তন প্রার্থীতা নিয়ে সংশয় নানা ইস্যুতে জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে এক ভঙ্গুর দশা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এই ভঙ্গুর দশার নেপথ্যের অন্যতম কারণ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা তিন নেতা তারাও সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের প্রার্থীতা নিয়ে মজেছেন। যার ফলাফল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রামেও কর্মী সমর্থকদের সমাগমের ব্যর্থতা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতার বিষয়টি ফুঁটে উঠে। এছাড়া পূজা উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির মিটিংয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার বাহিরে অধিকাংশ নেতাই ছিল অনউপস্থিত। সূত্র বলছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি মামুন মাহমুদকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু,২নং যুগ্ম মাশুকুল ইসলাম রাজীবকে করে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি গঠনের দেড় মাস পর ৩৩ পদে পূর্ণ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পূর্ণ আহ্বায়ক কমিটির সাথেও সর্বত্র আলোচিত সকল থানা-উপজেলা কমিটির নেতৃত্বের পরিবর্তন বা সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বরাবরই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। কেননা দলীয় সভা সমাবেশ থেকে শুরু করে নেতৃত্বের পরিবর্তনের তীব্র দাবি থাকলেও তার আমলে নিয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারেনি এবং সভা সমাবেশগুলোতে তাদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির অর্ন্তগত সকল থানা-উপজেলা থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনগুলো স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণের অভাব মোটা দাগে জেলা বিএনপির সামনে প্রতিনিয়ত উপস্থাপিত হচ্ছে। এদিকে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা অধিকাংশ নেতাই নারায়ণগঞ্জ-৩,৪,৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন। এরমধ্যে তিনটি আসনে সীমানা পরিবর্তন করা হলে চূড়ান্ত সীমানা পরিবর্তন নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব সীমানা পরিবর্তনের পর আসন ভিত্তিক প্রার্থীতা নিয়ে জটিলতা। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘ একটি সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে জেলা বিএনপির। কিন্তু এখনো সাংগঠনিক বিষয়ে গতি ফেরাতে দেখা মিলছে না। এদিকে জেলা বিএনপির সম্মেলন বা থানা-উপজেলার কমিটি বিষয়ে আলোচনা আসলেও বর্তমান কমিটির নেতারা এসকল বিষয়ের কার্যক্রমে পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মূলত, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই জেলা ব্যাপী সাংগঠনিক অবস্থা নড়বড়ে ছিল। কিন্তু নব নেতৃত্বে ফিরে জেলার সাইনিং পাওয়ারে থাকা নেতারা জেলা কমিটি পূর্ণ করলেও সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত করতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এদিকে জেলার নেতৃত্বে থাকা নেতারা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে সীমানা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে এবং কোন এলাকা থেকে নির্বাচন করবেন সেটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু সীমানা পরিবর্তন হয়ে যে এলাকাই পড়েছে সেখানেই জেলা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করা নেতারা নির্বাচন করবেন। এদিক নির্বাচনের আগে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত করতে হবে সেদিক থেকে অনেকটা দূরে সরে আছেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। যার কারণে নির্বাচনী ব্যস্ততায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা হয়েছে ভঙ্গুর।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা