আজ শনিবার | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২ আশ্বিন ১৪৩২ | ৪ রবিউস সানি ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:২৫

সাখাওয়াতের রাজনীতিতে কালিমা লেপন

ডান্ডিবার্তা | ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাথাওয়াত হোসেনের রাজনীতিতে কালিমা লেপন করছেন বিএনপির অপর আইনজীবীরা। সংবাদ সম্মেলন করে অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব এড. সাখাওয়াত হোসেন খান সম্পর্কে অনেক তথ্য দেন। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা এবং আদালতে বৈষম্য বিরোধী অনেক মামলা হয়েছে। এসকল অনেক মামলায় অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগ সহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড ঘটে যাচ্ছে। সেই সাথে এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছে। এবার মামলার নথি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন আইনজীবী। এই মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবী জানিয়েছেন তারা। গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ আদালত সংলগ্ন একটি চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করে এসকল অভিযোগ করেছেন। যারা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আলাদা প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা অ্যাডভোকেট শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান তার জুনিয়র টুটুল সুলতানার মাধ্যমে প্রথমে একটি বৈষম্যবিরোধী মামলা দায়ের করেন পরে এই মামলাটি প্রত্যাহার করলেন। এরপর একই মামলা আবার দায়ের করেছেন। কেন মামলা দায়ের করে প্রত্যাহার করে আবার পুনরায় মামলা দায়ের করলেন? প্রথমে দায়েরকৃত মামলা থেকে ৫ জনের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন সোহান প্রধান, আজিজ, মো. দেওয়ান, আলী আহমেদ ও রমজান সাউদ। এরপর তাওলাদ হোসেন ও মিলন মিয়ার নাম যুক্ত করা হয়। তার মানে পাঁচজনের নাম কর্তন করে এবং দুইজনের নাম যুক্ত করে মামলাটি আবার দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতে এটাকে মামলা বাণিজ্য বলি কিন্তু এটা মামলা বাণিজ্য না এটা চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজি যেন কেউ জানতে না পারে এই জন্যই সেদিন আলী আজমকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে বলেছিলো এটা অন্যায় এটা আইন পরিপন্থী। কারণ মামলার নথি দেখার অধিকার আইনজীবীর রয়েছে। শেখ মো. গোলাম মোর্শেদ গালিব বলেন, বিগত এক বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ বারে যা হচ্ছে আইনজীবীদের ভাষায় মামলা বাণিজ্য বলা হচ্ছে; এটা মামলা বাণিজ্য না এটা চাঁদাবাজি। একটা পেমেন্ট করাতেই পাঁচজন বাদ দেয়া হয়েছে এবং দুইজন পেমেন্ট না করায় মামলায় অন্তর্ভুক করা হয়েছে। এই মামলা বাণিজ্য কিংবা চাঁদাবাজি এর দায়ভার কে নিবে? এমনিতেই আইনজীবীদের প্রতি সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনা ভালো না। আমরা এটা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার অনুরোধ করছি। যার মাধ্যমে এটা পরিস্কার হয়ে যাবে। নারায়ণগঞ্জ বারে যে বাণিজ্য চাঁদাবাজি চলছে এটা থেকে মানুষ রেহাই পাবে। এখানে অনেক আসামী যারা কোনো রকমের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না কিন্তু তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এর দায় কে নিবে? তিনি বলেন, মামলায় শামীম ওসমান আজমেরী ওসমান অয়ন ওসমান সহ অনেকের নাম আছে। কিন্তু সেলিম ওসমানের নাম নাই। সেলিম ওসমানের নাম না থাকার কারণ যেহেতু সাখাওয়াত হোসেন খান সেলিম ওসমানের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করছে। এজন্য যতগুলো বৈষম্যবিরোধী মামলা সাখাওয়াত হোসেন খান তার জুনিয়নের মাধ্যমে করেছে একটি মামলাতেও সেলিম ওসমানের নাম নেই। তার সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলো। সাখাওয়াত হোসেন খান এসমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ আইনাঙ্গনে এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের কিছু লোকের বিতর্কিত কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করে আসছি। তাদের কার্যক্রমের কারণেই আমরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভিন্ন প্যানেলও দিয়েছিলাম। একটা শ্রেণি যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই মামলা বাণিজ্য চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। বিএনপির পদ বহন করে পদের দাপটে এই কাজগুলো করে যাচ্ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা