নাশকতার পরিকল্পনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী দোসররা গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বিছাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা শীর্ষ নেতাদের সাথে গোপনে ভার্চুয়াল মিটিং করেছে। যা গোয়েন্দাদের নজরে এসে পড়েছে। পরে পুলিশ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এর নেতাকে গ্রেফতার করতেও সক্ষম হয়। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যারা নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের পুত্র সন্ত্রাসী অয়ন ওসমানের অনুসারী ছিল তারাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের দিক নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জে বৃহৎ আকাড়ে নাশকতা চালিয়ে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল মিটিং করে যাচ্ছে। তারা এই মিটিংয়ের ছবি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা আলী হোসেন আলার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গ্রেফতার করে। সূত্র বলছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে অয়ন ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মতিউর রহমান সাগরের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করা হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রাসেলকে অংশ নিতে দেখা যায়। আর এই মিটিংয়ে অংশ নিতে দেখা যায় সিদ্ধিরগঞ্জের ছাত্রলীগ প্রয়াত আওয়ামীলীগ আলী হোসেন আলার পুত্র আল-আমিনকে তাদের মিটিংয়ে অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আদমজী কদমতলী এলাকার একটি পরিত্যক্ত মাঠ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিকে ফতুল্লা এলাকারও নিষিদ্ধ সংগঠনের একাধিক নেতা এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয় তারা হচ্ছেন-ফতুল্লা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন শুভ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান শুভ্র। এছাড়া আরও অংশ নিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুর ইসলাম হৃদয়, দুর্জয়, জনি, জুবায়ের হাসান, আল-আমিন বিন কবির। কিন্তু এই ভার্চুয়াল মিটিং এর ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কোন নেতা গ্রেফতার না হলেও আত্মগোপন থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এদিকে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উভয় থানার বিএনপি সমর্থিত নেতাদের ছাত্রলীগ নেতাদের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা নাশকতার সকল পরিকল্পনা অনেকটা বিএনপি সমর্থিত নেতাদের নাকের ডগায় বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উভয় থানার বিএনপি সমর্থিত নেতারা হাট-মাঠ-ঘাট-মিল ফ্যাক্টরী নিয়ন্ত্রণ-জুট সেক্টর-নৌপথে চাঁদাবাজি,-বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ নানা কার্যক্রমে মগ্ন থাকলেও তাদের ছাত্রলীগের সক্রিয়তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। উল্টো বিএনপির স্বার্থলোভী নেতারা নেপথ্যে থেকে আওয়ামীলীগের দোসরদের শেল্টার দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত বলয় ভারী করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ছাত্রলীগ নাশকতার ছাক আঁজলেও প্রশাসন চলতি দুর্গা পুজায় কঠোর নিরাপত্তা দেয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জে এখনো আওয়ামী দোসররা পরিকল্পনা অনুযায়ী নাশকতা করতে পারেনি। তবে তারা বিভিন্ন ছদ্মবেশে তৎপর রয়েচে। সুযোগ পেলেই নাশকতা করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই কোন প্রকার ছাড় না দিয়ে আওয়ামী দোসরদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জনিয়েছেন সাধারণ মানুষ।