
নাছির উদ্দিন
বন্দরে ছোট ছোট ঝুপরি ও টং দোকানে এবং আবাসিক ভবনের নিচে খোলা বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন। ষর্ম্পর্ন অনিরাপদ ঝুঁকিপূর্ন ভাবে এ ব্যবসা চলছে। কিন্তু এই দোকানগুলির নেই কোন ডিলারশিপ বা ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবসাটি পরিচিতি পেয়েছে ‘মিনি তেল পাম্প’ নামে। এ সকল দোকানগুলিতে অবৈধ উপায়ে চোরাই ও ভেজাল তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকি। বন্দর উপজেলার মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ থেকে লাঙ্গলবন্দ ব্রীজ পর্যন্তসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের পাশে ও আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেল বিক্রির প্রায় অর্ধশত খোলা তেলের দোকান গড়ে উঠেছে। অথচ পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত আইন অনুসারে জ্বালানি তেল পেট্রোল ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ব অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তার কারণে ২০১৫ সাল থেকে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। এসকল তেলে দোকানগুলিতে বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ির চালকরা তেল চুরি করে বিক্রি করে। এসকল দোকানে বেশীর ভাগ তেল চোরাই বলে জানা গেছে। বন্দরে ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন সিমেন্ট কোম্পানীর গাড়িগুলি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গাড়িগুলি মাল নামিয়ে ফেরার পথে এ সকল অবৈধ দোকানগুলি সামনে এসে পাইপ দিয়ে গাড়ির টাঙ্কি থেকে তেল নামিয়ে বিকিব্র করে যাচ্ছে। আর এ চোরাই তেল দোকানীরা বেী দামে বিক্রি করে যাচ্ছে। এ সমখ খোলা তেলের দোকানগুলি সর্ম্পর্ন অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। সামান্য ভুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে দোকানের আশপারের বাসিন্দারা। সরেজমিন দেখা যায়, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বাজার, কল্যান্দী বাসস্ট্যান্ড, বন্দর রেললাইন, নবীগঞ্জ, ধামগড় বাজার, গোকুলদাসেরবাগ, ফুলহর, মদনপুর, দেওয়ানবাগসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলেছে মিনি তেলর পাম্প। কিছু কিছু স্থানে ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে খেয়াল খুশি মত ডিজেল, পেট্রল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে মদনপুর, দেওয়ানবাগ ও ফুলহর বাজারেও। এসব দোকানের সামনে তেলের ব্যারেল স্তুপ করে রাখতে দেখা গেছে। তবে বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। এব্যপারে বন্দর ফায়ার স্টেশন অফিসার সঞ্জয় খান বলেন, বন্দরে আমরা কোন হŸালানি তেলের দোকানকে খোলা বাজারে তেল বিক্রির ছাড়পত্র দেয়নি। আর দোকানগুলিতে কোন প্রকার ফায়ার সেফটি নেই। এ সকল দোকার অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরে অবৈধ এক তেল দোকানী জানায়, বিস্ফোরক অধিদপ্তরে আবেদন করেছি কিন্তু অনুমোদন এখনো পাইনি। ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তেল বিক্রির অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যারা অবৈধ ভাবে ও ঝুঁকিপূর্ন ভাবে খোলা তেলের দোকার করে ব্যবস্থা করবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জে আইনের শাসন কড়াকড়ি ভাবে প্রয়োগ না হওয়ার ফলে শহরে চলাচল সাধারণ নগরবাসীর জন্য এক বিড়ম্ভনা। শহরে ব্যটারি চালিত ইজিবাইক দিন দিন বাড়ছে। ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় পথচারিরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। বন্ধন ও উৎসব বাসগুলি চেম্বার রোডের পুরোটাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দখল করে রাখে। রাত ৮টার পর থেকে শহীদ […]
মোবায়েদুর রহমান ক্ষমতার করিডোর থেকে যেসব পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো শুনে মনে হচ্ছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি শেষ পর্যন্ত হয়তো কেটে যাবে। ঐকমত্য কমিশনের কার্যকালের সর্বশেষ মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু জুলাই সনদ বাস্তবায়ন শেষ মুহূর্তে আটকে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো দেশে এমন […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯