না.গঞ্জে ডেঙ্গুর মারণ থাবা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মশা বাহিত রোগের এই মরসুমে বর্ষা বিদায় নিলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুর দাপট যেন বেড়েই চলেছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় রেকর্ডসংখ্যক ৩২ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই নতুন রোগীর সংখ্যা যুক্ত হওয়ায় চলতি বছরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগজনক ১ হাজার ২২৫ জনে। পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নেওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সাধারণ মানুষ। গতকাল সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া এই রোগীরা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অক্টোবর মাসের মাত্র তেরো দিনের মধ্যেই মোট ৩০৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা এই পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। তবে এই উদ্বেগের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর ফলে চলতি বছরে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৪ জনে। যদিও এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক, তবুও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মশা নিধন ও জনসচেতনতা বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের প্রতি জরুরি কিছু পরামর্শ মেনে চলার আহŸান জানানো হয়েছে. অবশ্যই মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিয়মিত মশারি ব্যবহার করতে হবে। চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোথাও যেন পানি না জমে সেদিকে কঠোর নজর দিতে হবে। জমে থাকা পানি দ্রæত অপসারণ করতে হবে এবং মশার লার্ভা ধ্বংস করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহŸান জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়টাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে।