আজ মঙ্গলবার | ৬ মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ৭ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ৮:২৬

চাঁদাবাজ সাংবাদিকে অতিষ্ট নগরবাসী

ডান্ডিবার্তা | ১৮ আগস্ট, ২০২২ | ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে শুধুই অটো রিকশা ও কাগজ পত্রবিহীন চোরাই মোটরবাইকে প্রেসের স্টিকার। যারা দাবড়িয়ে বেরাচ্ছে পুরো জেলা। তাদের দাপটের যেন শেষ নাই। তারাই সাংবাদিকতা পেশার বাড়াটা বাজাচ্ছে। এদের জন্য মূল সাংবাদিকরা কলংকিত হচ্ছে। হাতে একটি মোবাইল নিয়ে বনে যাচ্ছে অনলাইন টিভি, ইউটিউব টিভি চ্যানেলের মালিক। দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। প্রশাসনও তাদের কিছু বলে না। তাদের দাপটে প্রকৃত সাংবাদিকরা নাজেহাল। কলঙ্কিত হচ্ছে এই মহান পেশা। একজন প্রবীন সাংবাদিক বলেন, নারায়ণগঞ্জে যদি ১০ হাজার মোটর বাইক থাকে তার মধ্যে ৯ হাজারের মধ্যেই প্রেস লেখা স্টিকার লাগানো রয়েছে এমনটা মনে হয়। শহরে বের হলেই অহরহ চোখে পড়ে এই প্রেস লেখা মোটরবাইক। একটা সময় ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হতো। এখন রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়াতো দুরের কথা সাংবাদিক দেখলে তারা এরিয়ে চলেন। কারণ অনুষ্ঠানে কার্মীর চেয়ে সাংবাদিক বেশী। আর তাদের দাপটে অনুষ্ঠানে আসা দর্শকরা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে না। আর অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই শুর হয় বিক্ষুকের মত হাত পাতা। এসকল ভুয়া সাংবাদিকদের কারণে পেশা এতটাই কলঙ্কিত হয়েছে যার দরুন পেশাদার সাংবাদিকরা আর নিজের পরিচয় দিতে বিব্রত বোধ করেন। অনেকে আবার এ পেশাকে ব্যবসা বা চাঁদাবাজির কাতারে নিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে এখন অটো সাংবাদিক ভরে গেছে। সদর উপজেলার কাশিপুর থেকে মোক্তারপুর, পাগলা, পঞ্চবটি, চাষাড়া, চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড বাদ নেই। এখন ইজি বাইকে বড় করে লিখে রাখে “সাংবাদিক” “প্রেস”। পুলিশ বলেছে তাদের কাগজ নাই বলে মামলা দেয়া যায় না। আর অন্যগাড়ি যেমন তেমন মোটর সাইকেল পাইলে যেন হুলিয়া চালায়। তবে অবৈধ প্রেস লিখা মোটর সাইকেল ট্রাফিক বক্সের আশেপাশে পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। তাছাড়া “নগর সংবাদ” লিখা এমন অটো দেখা যায় শত শত। তাই এক সুশিল সমাজের ব্যক্তি ব্যঙ্গ করে বলেন, নিজের গাড়ি তো নাই পরের গাড়িতে তদবির বানিজ্য আর চাঁদাবাজি করছে। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কিছু করতে পারে না। পুরো নারায়ণগঞ্জে যানজটের অন্যতম কারণ হাজার হাজার এই বাড়তি যান সড়কে চলে বলে। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় টা ব্যবহার করে নাকি মাসে লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে। কি আর বলার, কম সংবাদ তো প্রকাশ হয়নি, এ বিষয়ে নিরব থাকার কারণ নিয়ে আঙ্গুল উঠাই স্বাভাবিক! কি আর বলার, কেউ এমনি খাচ্ছে, কেউ ঘুরিয়ে খাচ্ছে! তবে উচিৎ কথা বললে আবার অনেকের ব্যাথা উঠে। কিন্তু যেভাবে চলছে, এই শহরে টেকা যায় না। ডানে বামে সাংবাদিক আর সাংবাদিক, মাসে, বছরে কোন সংবাদের সাথে নাই। আবার উর্ধ্বতন কর্তাদের সাথে দেখা যায় ভালোই সখ্যতা। মিটিংয়ে উপস্থিতি, কমিটিতে পদ! বিষয়গুলো এখন একমাত্র জেলা প্রশাসক সুদৃষ্টি দিলে সমাধান সম্ভব। কারণ জেলার প্রধান ও জেলা মেজিস্ট্র‌্যাট হিসেবে যথেষ্ট প্রশাসনিক ক্ষমতা ও শক্তি সার্মথ্য রয়েছে। আর প্রকৃত সাংবাদিকরাও একটু সম্মান নিয়ে অন্তত পথে চলতে পারবে। আর না হয়, বৈধতা দেয়া হোক, সবাই ইজি বাইক কিন্না বৈধ ব্যবসায়ী হয়ে যাই। আমরা পেশার সম্মানে নিজেদের সম্মানে এড়িয়ে যাই, আর ধান্ধাবজরা রাজত্ব দেখায়! এই হলো এখন নামধারী সাংবাদিকদের অবস্থা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা