আজ শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ১১ জিলকদ ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৬:৫৬

সকল অপরাধের মূলে মাদক

ডান্ডিবার্তা | ২৪ আগস্ট, ২০২২ | ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, আমরা সব সময়য়ি বলি মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স। কিন্তু এটাও ঠিক যে মাদক কিন্তু আমরা সতভাগ নির্মূল করতে পারিনি। তবে আমদের ইন্টেশনটা হচ্ছে ১শ’ ভাগ পিউর যে হ্যাঁ আমরা  মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স  নিতি প্রয়োগ করব। কথার সাথে কাজের আমি মিল রাখব ইনশাআল্লাহ। এই মাদক বা অন্যান্য যে ধরনের ক্রাইম হয় বা ক্রাইমের চেষ্টা করে তা হলে আমি মনে করি, যে মাদক হলো অন্যতম একটা মাধ্যম। তিনি বলেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত, মাদকের কারণে বলি, মাদক বিক্রির কারণে বলি, মাদক সেবনের কারণে বলি, যে কোন ভাবেই বলি না কেন ক্রাইমের অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে মাদক। সুতরাং এটা আপনাদের হলফ করে বলতেপারি ইনশাআল্লাহ ইন্টেনসন ১শ’ভাগ পিউর, ১শ’ভাগ কিওর। আমরা চেষ্টা করবো নিজেদেরকে এফোর্ট দিয়ে, যাতে একটি মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা করে তোলা যায়। আর  সেই লক্ষ্যে কাজ করা এটা আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য।  দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ইতিপূর্বে কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে কাজ করে আসছে। আমার কাছে এটা শুধু নারায়ণগঞ্জ না, সারা বাংলাদেশে আমার কাছে মনে হয়েছে যে কিশোর অপরাধ একটা বার্তি বা আমাদের সমাজের একটা নৈতিক স্খলনজনিত একটা কিছু হতে যাচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা, আসলে কেউ এডুকেডেট ছেলে আছে, আনএডুকেডেট ছেলে আছে এবং কর্মজীবী ছেলেরাও আছে। এই যে অপরাধ এটা আসলে পুলিশের পক্ষে ১শ’ ভাগ নির্মূল করা আসলে সম্ভব না। এটা যেমন বাবা-মা’র দায়িত্ব আছে, স্কুল কলেজের টিচারের দায়িত্ব আছে, পুলিশের বড় একটা ভূমিকা এবং দায়িত্ব আছে, আপনাদের দায়িত্ব আছে। সবাই মিলে জদি আমরা একযোগে কাজ করি, তা হলে কিন্তু আমি মনে করি  কিশোর গ্যাং নির্মূল করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, কাল  আমাকে একজন ফোন করে বলছিল এবং আমি একটা  ভিডিও দেখলাম আর তা দেখে আমি সারপ্রাইজ, আবার সারপ্রাইজের কিছু নাই, কারণ এর আগেও দেখেছি ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ বছরের মধ্যে এই ছেলেগুলা এক ধরনের ফেন্টাসি বলি, হিরুরিজম বলি বা কির্মিনাল মেন্টালেটি বলি এভাবে তারা কিন্তু এক ধরণের ক্রাইমের মধ্যে জড়িয়ে পরছে।  সুতরাং এটাকে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। আর এটাকে যদি প্রতিরোধ করতে চাই তা হলে, আমি যেটা মনে করি এটার সাথে  মোটরবাইকের  একটা সম্পর্ক আছে। এই মোটরবাইক নিয়ে সাপের মত এরকম এরকম করে (আঁকা বাকা) সারাদিন ব্যবহার করে। আমি আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই আমি হয়তোবা আজকে আমার সেকেন্ড ডে, কিছুদিনের মধ্যে আমি একটা কম্বিং অপারেশনে যাব। মাদক এবং এই মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে। এসপি বলেন, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই, কাগজ পত্র আছে। তাদের আমি অনুলোধ করবো আপনারা রেজিস্টেশন করে ফেলেন। আর যাদের কাগজ পত্রনাই কোন  কিছু নাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের একশনে যওেয়া উচিৎ। সুতরাং কাগজ পত্র ও রেজিস্টেশন বিহীন যে সকল মোটরবাইক আমরা পাব তাদের বিরুদ্ধে হয়তো বা সেপ্টম্ভর প্রথম সপ্তাহ থেকে কম্বিং অপারেশনে যাব। তোমার বয়স ১২ বা ১৩ বছর তুমি একটা মোটরসাইকেল নিয়ে দল ধরে দশ-বারোজন পাঁচ- ছয় জন একবারে ঘুরতেছে, বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এক ধরণের মহরা টাইপ দিচ্ছে। একটা মনে হয়েছে যে আমরা যদি প্রোএকটিভ পুলিশিং করতে চাই নট রিএকটিভ। একটি ঘটনা ঘটে গেছে তার পরে আমি রেস্পন্স করলাম সেটা হচ্ছে রি একটিভ পুলিশিং। আর প্রোএকটিভ পুলিশিং হচ্ছে যে ঘটনা ঘটার আগে আমি একটিভ আমার কারণে যাতে কোনো ঘটনা ঘটতে না পারে। তা আমি একদম দৃঢ়চিত্তে আপনাদের সামনে বলছি ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে যাতে একটা প্রোএকটিভ পুলিশিং এর কার্যক্রম শুরু করতে পারিসেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাব এবং এটা আমার কাছে মনে হয়েছে, যে আমরা যদি প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং চিন্তা করতে পারি তাহলে আমাদের এই নারায়ণগঞ্জবাসী ছোট ছোট অনেক ঘটনা আছে। যে ঘটনাগুলো মিনিমাইজ করতে সম্ভব হবে। আমি মনে করি অনেক জিনিস আছে যে প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং  নিবারণ করা সম্ভব। কিন্তু ১শ’ভাগ তো কোন কিছুই করা সম্ভব না।  হান্ডেট পার্সেন্ট করতে পারে একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা।  যে ধর্মেরই হই, একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আমরা মানব জাতির পক্ষে কিন্তু ১শ’ ভাগ কিন্তু পারফেকশন কোথাও আনা সম্ভব না। কিন্তু আমাদেরকে যেটা করতে হবে সেটা হলো  সর্বোচ্চ পার্সেন্টেজ টা করতে হবে। ১০০ ভাগ না পারলে ৯৮ বা ৯৯ ভাগ করতে হবে। সুতরাং আপনাকে সর্বোচ্চ করতে হবে। সেই লক্ষ নিয়ে ইনশাল্লাহ আমরা কাজ করব। কোথাও কোন ধরনের অনিয়ম থাকলে আপনাদের কোন প্রবলেম থাকলে বা যে জায়গায় ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ এবং কোন কিছু থাকলে আমাদেরকে বলেন, আমরা চেষ্টা করব সেটা রেসপন্স করতে। এবং তা সমাধান করতে। এসময় ইজিবাইকে বিভিন্ন প্রেসের স্টিকার, সড়কে ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে বি আরটিএ আছে, হাইওয়ে পুলিশ আছে, সিটি কর্পেঅরেশন আছে, স্থানিয় অটোরিক্সা মালিক সমিতি আছে   তার পরে হল আমার ট্রাফিক পুলিশ।  তাই  আমি তাদের সবার সাথে বসে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব। এর আগে তো তাদের সবার সাথে কথা বলতে হবে । এবং এই বিষয়গুলোর উপর আমাদের অবশ্যই ফোকাস থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. আছলাম মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (ইনচার্জ, আইসিটি এন্ড মিডিয়া) হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীব্ন্দৃ ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা