সোনারগায়ে মাদক বিক্রেতাদের সাথে পুলিশের সখ্যতার ছবি ভাইরাল!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁ থানার সবকটি এলাকা মাদকের হট স্পট। মাদক নির্মূল তো দুরের কথা সোনারগাঁ থানার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে শীর্ষ মাদক বিক্রেতা এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধানের ছবি তোলায় সোনারগাঁ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন নিয়ে নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলে। সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি হাফিজুর রহমান, সাবেক এসআই রাকিব ও বর্তমান সেকেন্ডে অফিসার (এসআই) ইমরান হোসেনের সাথে মাদক কারবারি এসকে সজিব ওরফে নাজমুর রহমান সজিব ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান এর ভাতিজা হৃদয় প্রধানের একটি হাস্যজল ছবি হাতে এসেছে। সোনারগাঁয়ের ইউনিয়ন ভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা সহ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল একটি অনলাইন। সে সময় পুলিশ মাঝে মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করলেও সাবেক ওসি হাফিজুর রহমানের সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। তার জলন্ত প্রমান মাদক নির্মূলের পরিবর্তে শীর্ষ মাদক বিক্রেতা সজীবের সাথে ফটোসেশন করে তাদের শেল্টার দেয়া হতো। সরেজমিন সোনারগাঁ উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে পুরো সোনারগাঁ থানা জুড়ে চলছে মাদকের মহোৎসব। থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান সহ অসাধু পুলিশের সাথে রয়েছে মাদক বিক্রেতাদের সাথে গভীর দহরম মহরম। এদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন থানার শীর্ষ কর্তারা। ফলে সোনারগাঁ মাদক নির্মূল তো দুরের কথা এখন সোনারগাঁ থানা এলাকা হয়ে উঠেছে মাদকের শীর্ষ স্পট। সাবেক ওসি হাফিজুর রহমান, বর্তমান সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন সহ বর্তমানে থানায় কর্মরত অধিকাংশ পুলিশ সদস্য উল্লেখ করার মতো কোন মাদক বিক্রেতা কে আটক করেছে গত ২ বছরে এমন পরিসংখ্যান দিতে পারবেনা সোনারগাঁও থানা পুলিশ। অপর দিকে সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার কারনে মাদক নির্মূলে সফল হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। কারন হিসেবে জানা যায়, শীর্ষ মাদক বিক্রেতা এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধান ঐ নেতাদের মাদক সরবরাহ করে থাকে। সচেতন এলাকাবাসীর দাবী মাদক বিক্রেতা যত প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। বর্তমান সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা এসকে সজিব ও হৃদয় প্রধানকে সাবেক ওসি হাফিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যান এবং পরিচয় করিয়ে দেন। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন মুঠোফোনে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে কেউ তথ্য দেয়নাই। থাকলে দিয়েন। ছবিটি আমি এখনো দেখিনি বলে মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।