আজ রবিবার | ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:৪১

একটি খেজুরে ইফতার আনন্দ

ডান্ডিবার্তা | ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সারাদিন রোজা শেষে নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে মানুষ যখন ইফতার সারতে ব্যস্ত ঠিক তখনই কিছু মানুষ রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে বসে পানি, খেজুর, মুড়ি ও জিলাপিসহ হালকা খাবার দিয়ে ইফতার সারেন। আবার অনেক মানুষ টাকার অভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে অথবা একাই এক গ্লাস পানি খেয়ে ইফতার শেষ করছেন। এদের অধিকাংশই গরিব, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এমনই কয়েকটি চিত্র। তখন অল্প কিছু সময় বাকি ইফতারের, পাশে মুড়ি মাখানো আর হাতে খেজুর নিয়ে বসে আছেন দুই রোজাদার ব্যক্তি কামু ও সাব্বির। তারা দুইজনই রোজা রাখেন। অন্যদিকে ফলের দোকানে বসে ইফতার বানাছেন এক ভাই। তার পাশে লেবু চিপে শরবত বানাচ্ছেন ছোট ভাই ইমন। তারা দুই ভাই ফলের ব্যবসা করেন উপজেলার গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায়। তারা দুইজনই রোজা রেখেছেন। রমজানে উপজেলার গাউছিয়ায় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষদের ইফতারির এমন চিত্র দেখা যায় প্রতিদিন। কামু জানান, এই বাস কাউন্টারে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮জনের ইফতারের আয়োজন করা হয়। যারা এখানে কাজ করেন তারা সবাই টাকা মিলিয়ে এই আয়োজন করেন। এর বাইরেও যারা আসেন তারা ইফতারি করেন। অনেকেই রোজা থাকেন, কিন্তু বাসা অনেক দূরে, তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। এখানে অনেকেই একে অন্যকে চেনেন না; কিন্তু একসঙ্গে বসে ইফতার করেন। আমরা সবাই এক পরিবারের মতো। একসঙ্গে ইফতার করা আমাদের জন্য উৎসব। এই আনন্দটাকে আমরা খুব উপভোগ করি। গতকাল মঙ্গলবার ইফতারের আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নানা জায়গায় ছোট ছোট জটলা, পাটি বা পেপার বিছিয়ে, কেউ ফুটপাতে, কেউ বা ভ্যানে বসে ইফতারির আয়োজন করছেন। কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, রিকশা, ভ্যান ও শ্রমিকদের ইফতারির আয়োজনে খেজুর, ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু বেগুনির পাশাপাশি রয়েছে নানা রকমের ফল ও শরবত। গাউছিয়া মার্কেটের একটু সামনেই চায়ের দোকানের কাঠের টুলের ওপর ইফতারি প্রস্তুত করে অপেক্ষা করছেন কয়েকজন। তাদের মধ্য থেকে কামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন আমরা তিন-চারজন মিলে ইফতারির আয়োজন করি। ইফতারের সময় হলে অনেকেই চলে আসেন ইফতারি করতে। রোজাদারকে খাওয়ানো আনন্দের। আমরা ডেকে ডেকে খাওয়াই। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তেই দেখা গেল, ভূলতা ইউনিয়নের গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় ইফতার সামনে নিয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করছেন এক বৃদ্ধ। ইফতারি সামনে নিয়ে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন। দোয়া শেষ করে তিনি বলেন, ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয়। তাই সবার জন্য দোয়া করলাম। রিকশা চালক আনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, সারাদিন নানাজন নানা জায়গায় কাজ করে ইফতারের সময় সবাই মিলে ইফতারি করার মতো আনন্দের আর কিছু নেই। পরিবারের সঙ্গে করতে পারলে আরও ভালো লাগত। যারা একসঙ্গে ইফতারি করি, মনে করি তারাই আমাদের পরিবার। চা বিক্রেতা মোতালীব বলেন, ‘হগগলরে চিনিও না। যারা আহে তাগোই ইফতার করতে কোই। চিন-অচিন বইলা কিছু নাই। যার যার রিজিক হে হে খাইব। আমরা উসিলা। বাপ-দাদারে দেখসি খুঁইজা খুঁইজা রোজাদারগো ইফতারি করাইতো। রোজাদার খাওয়াইলে সোয়াব বেশি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা