আজ রবিবার | ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৪৩

বিএনপির বিদ্রোহীদের খুঁজে পুলিশ

ডান্ডিবার্তা | ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গত শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা ছিল জেলা ও মহানগরে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির মূল কমিটির নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করেছেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করলেও যথাসময় ঠিকই কর্মসূচি পালন করে দেখিয়েছেন। অন্যদিকে মহানগর কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে পৃথক কর্মসূচি পরিচালনা করা বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা বাতিল করেছেন তাদের কর্মসূচি। কোন প্রকার কারণ না দেখিয়েই গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি বাতিলের বিষয়টি জানিয়ে দেন। গত শনিবার বিকেলে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেন মহানগর বিএনপির মূল কমিটি। যদিও বিদ্রোহীরা বরাবরই দাবি করে আসছেন, মূল কমিটির চাইতে অনেক বেশি নেতাকর্মী সম্পৃক্ত তাদের সাথে এবং অনেক বেশি শক্তিশালী তাঁরা। কিন্তু কেন শেষ মুহূর্তে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে হলো সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্যই আসেনি দলটির নেতাদের কাছ থেকে। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন নেতা তুলে ধরেন নিজেদের দুর্বলতার কথা। অকপটে স্বীকার করেন অভ্যন্তরীণ দূরত্ব এবং সমন্বয়হীনতার অভাব। মহানগর বিএনপির এক যুগ্ম আহবায়ক (বিদ্রোহী) নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘আসলে আমরা সেদিন সময়মত কেউ নারায়ণগঞ্জ শহরে থাকতে পারিনি। রাতভর পুলিশের অভিযানের কারণে সবাই দূরে সরে গেছিল। অনেকে নারায়ণগঞ্জের বাইরের জেলাতেও চলে গেছিল বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায়। গ্রেপ্তারি এড়াতে দিনের বেলাতেও শহরে প্রবেশ করেননি অনেকে। এর ফলে অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা যায়নি। যেসব নেতারা অনেক বেশি নেতাকর্মী নিয়ে আসেন সভা সমাবেশে, তাঁরাই দূরে চলে যান। এভাবে পুরো বলয়টা দুর্বল হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় কর্মসূচি পালন করতে গেলে লোকজন খুবই কম আসতো। সেজন্য সেদিন কর্মসূচি বাতিল করে দেয়া হয়।’ এদিকে কর্মসূচিতে লোকবল কম আসা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে তৈমূর বলয়ের সাথে কালাম এবং জাকির খান বলয়ের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এছাড়া কালাম বলয় অতীতেও জাকির খান বলয়কে মাইনাস করে দলের কার্যক্রম চালিয়েছে। অতীতের এসব ক্ষোভ এখনও গোপনে গোপনে রয়ে গেছে বিদ্রোহী বলয়ের মাঝে। সেই কারণে শুরুর দিনে বেশ বড় জমায়েত করতে পারলেও দিন দিন সেই পরিসর ছোট হয়ে আসছে। নতুন করে তৈমূর আলম খন্দকার তার ভাই হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করলে আবারও ফাটল ধরে ভেতরে ভেতরে। এককালের তৈমূর অনুগামীরা এখন জাকির খানের মুক্তি চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তৈমূর। এভাবেই দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে বিদ্রোহী বলয়। দলের আরেকটি সূত্র বলছে, সবশেষ বিএনপির মহাসচিবের কাছে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরে আসায় কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে বিদ্রোহী বলয়ে। সেই কারণে ঠিকভাবে কর্মসূচিতে মনোনিবেশ করতে পারছেন না তাঁরা। গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বিদ্রোহী বলয় সক্রিয় থেকে সেই রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দিলেও কোন সুফল আসেনি। সেকারণে নতুন করে সক্রিয়তায় ভাটা নেমে এসেছে বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের মধ্যে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাত দৃষ্টিতে গত শনিবার পুলিশের ভয়ে কর্মসূচি বাতিল করেছে বিদ্রোহী বলয় তা একেবারেই সত্য। একই সাথে পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে ছিল মহানগর বিএনপির মূল বলয়ের নেতারাও। কিন্তু তাঁরা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে নিজেদের যেমন প্রমাণ করে দেখিয়েছে, তেমনি বিদ্রোহীরা প্রমাণ করেছে ব্যর্থ হিসেবে। এর পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও সাম্প্রতিক চালচিত্রে তৈরি হওয়া হতাশা। এমন অবস্থায় বিদ্রোহীরা ঠিক কতদূর এগোতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা