আজ বুধবার | ২৩ জুলাই ২০২৫ | ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৭ মহর্‌রম ১৪৪৭ | সকাল ৮:০৯

মসজিদ-মন্দির বানালেই কি জান্নাত যাবেন?

ডান্ডিবার্তা | ০৬ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহরের নিয়ম মেনে মসজিদ-মন্দির নির্মান করার জন্য অনুরোধ করেছেন সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, আাজকাল অনুমোতি ছাড়াই যে কোন জায়গায়; মসজিদ-মন্দির নির্মান করা হচ্ছে। এতে আমাদের চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। কোন প্ল্যানিং নেই, না সিটি কর্পোরেশনের দেখার অধিকার আছে। কিন্তু একটি শহরে নিয়ম বলতেও তো কিছু থাকে।’ সেলিম ওসমান বলেন, ‘যার মন চাচ্ছে, মনে করছে; একটি মসজিদ বানিয়ে দিলে উনি জান্নাতবাসী হয়ে যাবেন। কেউ মনে করছেন উনি মন্দির বানালে স্বর্গে চলে যাবেন। এবিষয়ে আমার মেয়র মহোদয়ও বিব্রত বোধ করছেন, কারণ মসজিদ-মন্দির সম্পর্কে তো কিছু বলা যায় না।’ গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্ত: ধর্মীয় সংলাপে সেলিম ওসমান একথা বলেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছে নামাজের জন্য একটি বড় ঈদগাহের দাবি জানিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এত মানুষ থাকার পরেও একটি ভালো ঈদগাহ নাই। যেখানে লাখ লাখ মানুষ এক সাথে ইদ জামাত আদায় করতে পারবে। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমি আপনার কাছে অনুরোধ করবো, আমাদের নারায়ণগঞ্জে বিশাল একটি ঈদগাহ ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের জায়গার দরকার, জায়গার ব্যবস্থা করে দিন। আশা করি আপনি রাগ করবেন না, আমরা আসলে খুব কষ্টে আছি।’ সেলিম ওসমান বলেন, ‘আজকাল এলাকা-বাজারে মন্দির ভরে গেছে, জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে; বাড়ি-ঘর বেড়েছে। আপনারা মহল্লা থেকে এই পূজার স্থান গুলো বেড় করে নিয়ে আসুন। একটি বড় যায়গার ব্যবস্থা করুন, সেখানে একসাথে পূজা করুন। এটা আবার আমরা জোর করে বলতে গেলে বিব্রত বোধ করি। রোজার মাসে আমাদের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে শান্তি স্থাপন করা।’ সংলাপে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আপনাদেরও কিন্তু কিছু দায়িত্ব আছে। সে দায়িত্ব গুলো আপনারা সঠিক ভাবে পালন করুন। আমি যুদ্ধ করে একটি পতাকা আনতে পেরেছি বলে আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি, যতক্ষন জীবিত আছি কাজ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করলেই পারবো। মসজিদ-মন্দিরে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই দিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন।’ আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ। এছাড়া সংলাপে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, মন্দিরের পুরহিত ও গির্জার ফাদার।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা