কষ্ট হলেও কেন্দ্রে এসে ভোটটা দেন
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কাছে তিনি এই মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন- ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন। মনোনয়ন জমা দেয়া শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জনগনের প্রতি আহŸান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেন, আমাকে দিয়েন না; কিন্তু ভোট কেন্দ্রে আসেন। কারণ এটা আপনার অধিকার। আপনি আপনার অধিকারটা নষ্ট কইরেন না। আধাঘন্টা হয়তো কষ্ট হবে আপনার, কিন্তু ভোটটা দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোট না দিলে আপনি সরকারের সমালোচনা করার কোন অধিকার রাখেন না। যখন আপনি ভোট দিবেন, তখন আপনি বলতে পারবেন যে কি হচ্ছে দেশে। আপনি ভোট না দিয়ে ঘরে বসে চা খাবেন, আর বলবেন কি হচ্ছে দেশে; এটার অধিকার আপনার নাই।’ এর আগে তিনি দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তবে তিনি কী কারণে তিনি ডিবি কার্যালয়ে গেছেন তা কিছু জানাননি। এর আগে গত ২০ নভেম্বর শামীম ওসমান জানিয়েছিলেন তাকে অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ডিবি কার্যলয় থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি একটা মেসেজ দিতে চাই। এত উন্নয়ন হয়েছে, এ রাস্তা দিয়ে কী শুধু আওয়ামী লীগ চলবে? বিএনপির ছেলেরাও চলাফেরা করবে, জামায়াতের ছেলেরা চলবে। এই রাস্তার পাশে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, মেডিকেল কলেজ হবে। তার পাশে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট হবে। কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমি শুধু ফতুল্লা এলাকায় ছয়শ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। আমরা ৫৮টি বড় বড় বিল্ডিং করে দিয়েছি স্কুলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ও মায়ের খবরই রাখে না, কর্মীদের খবর কী রাখবে? নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ছিলেন। এক সময় জাতীয় পার্টি করতেন, তারপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি আবারও আওয়ামী লীগ হয়ে বিএনপিতে। এখন নাকি নতুন দলে ভিড়তে চাচ্ছে। তৃণমূলে, বিএনএফে নক করছেন এখন। এত বড় পল্টিবাজ, তাই তাকে আর কেউ নিতে চাচ্ছে না। তার আমলে আমাদের সুন্দর আলী ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপির তৈমূর সাহেবের ছোট ভাই, কোনো দল করত না। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বারো জন লোককে মারা হয়েছে। যারা মানবাধিকারের কথা বলে, আমাদের নজরুল ইসলাম সুইটকে জেলখানা থেকে রিমান্ডের নাম করে নিয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এর চেয়ে বড় আইনের ধর্ষক হতে পারে না। এখন উনি নতুন নাটক করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কি দেন নাই, আমার ব্যাপার না। মনোনয়নপত্র জমা না হওয়া পর্যন্ত তা বাতিল করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। এটা স্ট্যান্ডবাজি হচ্ছে।