
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা, সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, যুদ্ধপরাধীরা যখন বুঝতে পারছিলো যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা ভাবলো যে দেশ স্বাধীন হোক কিন্তু যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের মেরে ফেলা দরকার। তাই বিজয়ের কয়েক ঘন্টা আগেই তাদের হত্যা করা হলো। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের নতুন প্রজন্মের কিন্তু অনেকেই বলতে পারবে না। আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে জানাতে হবে যে, সত্যিকারের ‘বীর’ কারা। যারা শিক্ষক আছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের এসকল বিষয়ে জানাবেন। তারা এসকল বিষয় যতটা জানবে, আমরা ঠিক ততটা অসা¤প্রদায়ী একটি জাতি গড়ার দিকে এগিয়ে যাবো। চন্দনশীল বলেন, মহান মুক্তিযদ্ধে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছে। কিন্তু যখন ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বুঝতে পারলো যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন এসকল বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের মাঝেই সিমাবদ্ধ থাকলে হবে না, এটা আমাদের টেনে নিয়ে যেতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু পুরো বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি আমাদের বুঝাতে পেরেছিলেন যে, পাকিস্তানের কাছে পরাধীনতার যে শিকল সেটি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন কোন ভাতা বা কোটার কথা চিন্তা করেন নাই। তারা চিন্তা করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন, এদেশকে যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে হবে। তখন বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হবে। তখন অনেকেই বলেছিলো যে বিচার হবে না। কিন্তু তাদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, দেশের জন্য আত্মত্যাগের কারণে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়েছেন। এই হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো সেই ২৫শে মার্চ থেকে। তারা ভেবেছিলো বাঙ্গালিতের উপর হামলা করলেই আমরা শেষ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো সেই ৭ই মার্চের ভাষেণেই বলেছিলো যে, আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না। ২৬শে মার্চ থেকে দেখা গেছে যে বাঙ্গালি জাতিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, এমনে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দেশের ক্লান্তিলগ্নে বাঙ্গালি জাতি প্রমান করেছে যে আমরা ঐক্যবদ্ধ। মুত্তিযুদ্ধে যাদের অবদান ছিলো, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের এই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারেরা তাদের চিনিয়ে দিয়েছে এবং পাকিস্তানিরা তাদের হত্যা করেছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯