আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:২৮

সত্যিকারের ‘বীর’ কারা তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে: ডিসি

ডান্ডিবার্তা | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা, সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জুলহাস ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, যুদ্ধপরাধীরা যখন বুঝতে পারছিলো যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা ভাবলো যে দেশ স্বাধীন হোক কিন্তু যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের মেরে ফেলা দরকার। তাই বিজয়ের কয়েক ঘন্টা আগেই তাদের হত্যা করা হলো। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের নতুন প্রজন্মের কিন্তু অনেকেই বলতে পারবে না। আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে জানাতে হবে যে, সত্যিকারের ‘বীর’ কারা। যারা শিক্ষক আছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের এসকল বিষয়ে জানাবেন। তারা এসকল বিষয় যতটা জানবে, আমরা ঠিক ততটা অসা¤প্রদায়ী একটি জাতি গড়ার দিকে এগিয়ে যাবো। চন্দনশীল বলেন, মহান মুক্তিযদ্ধে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করেছে। কিন্তু যখন ওই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বুঝতে পারলো যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন এসকল বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের মাঝেই সিমাবদ্ধ থাকলে হবে না, এটা আমাদের টেনে নিয়ে যেতে হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। বঙ্গবন্ধু পুরো বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি আমাদের বুঝাতে পেরেছিলেন যে, পাকিস্তানের কাছে পরাধীনতার যে শিকল সেটি থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন কোন ভাতা বা কোটার কথা চিন্তা করেন নাই। তারা চিন্তা করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন, এদেশকে যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে হবে। তখন বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হবে। তখন অনেকেই বলেছিলো যে বিচার হবে না। কিন্তু তাদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, দেশের জন্য আত্মত্যাগের কারণে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়েছেন। এই হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো সেই ২৫শে মার্চ থেকে। তারা ভেবেছিলো বাঙ্গালিতের উপর হামলা করলেই আমরা শেষ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো সেই ৭ই মার্চের ভাষেণেই বলেছিলো যে, আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না। ২৬শে মার্চ থেকে দেখা গেছে যে বাঙ্গালি জাতিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, এমনে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দেশের ক্লান্তিলগ্নে বাঙ্গালি জাতি প্রমান করেছে যে আমরা ঐক্যবদ্ধ। মুত্তিযুদ্ধে যাদের অবদান ছিলো, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের এই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারেরা তাদের চিনিয়ে দিয়েছে এবং পাকিস্তানিরা তাদের হত্যা করেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা