না’গঞ্জে রেস্টুরেন্ট অগ্নিঝুঁকিতে থাকলেও বন্ধ করা হচ্ছে না!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা বানিজ্যিক ভবন ও রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলোতে টানা অভিযান পরিচালনা করা হলেও কার্যকর কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। দেশে বড় কোন অগ্নিদূর্ঘটনার পর কিছুদিন তৎপরতা দেখালেও অগ্নিঝুঁকিতে থাকা এসকল ভবন ও রেস্টুরেন্টগুলেকে সতর্ক করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ অভিযান। বিগত তিন দিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ও আশেপাশের এলাকায় অগ্নি ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শহরের মেডিনোভা হাসপাতাল ভবনের রুফটপে থাকা চাঁদের পাহাড় ও সমবায় মার্কেটের রুফটপে থাকা লা ভিস্তা রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কোন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষই রুফটপের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এসময় রেস্টুরেন্ট ও ভবনগুলো অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে তাদের সতর্ক করে সিটি করপোরেশন। তবে এদের কারও বিরুদ্ধেই কোন কার্যকর কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নাগরিকদের জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক। দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অযাচিতভাবে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেজন্য আমরা সিটি করপোরেশন নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের এখানে যেসকল ভবনগুলো আছে বিশেষ করে যেসব ভবনে একাধিক খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে বা যেখানে আগ্নিকান্ডের কোন ধরনের সম্ভাবনা আছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক ফখরউদ্দিন জানান, রুফ আসলে থাকে যেকোন দুর্ঘটনায় মানুষ যদি নিচে নামতে না পারে সে ছাদে দিয়ে আশ্রয় নেবে। আমরা দেখলাম চাঁদের পাহাড়ের রুফটপ দখল হয়ে গেছে এতে করে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ ছাদে এসে আশ্রয় নিতে পারবেনা। এটা একটা স্ট্রাকচারাল বিল্ডিং যার উপরে নন স্ট্রাকচার কিছু থাকার সুযোগ নাই। এটার উপরে একটা টিনশেড দিয়ে চাঁদের পাহাড় রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। এর বেশ কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেট-বিপণিবিতানকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তখনও কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। একই ভাবে দিনের পর দিন ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম চলছে এসকল ভবনে। নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী শহরের মাত্র পাঁচ শতাংশ ভবন ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শর্ত পূরণ করে ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছে এক শতাংশেরও কম ভবন মালিক।