শান্তিপূর্ন ভাবে বন্দর উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন জাল ভোট দেয়ায় যুবকের ৬ মাসের জেল
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্নভাবে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে জাল ভোট দেয়ার অপরাধে ৬ মাসের সাঁজা দিয়েছে আদালত। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান মোল্লার আদালত এ রায় দেন। দÐপ্রাপ্ত যুবকের নাম ওমর ফারুক ওরুফে নাঈম। সে কেন্দ্রটিতে দোয়াত-কলম প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সাগর বলেন, ‘ওই যুবক জালভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। প্রিসাইডিং অফিসার তাকে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার কাছে ব্যালট সদৃশ পেপার পাওয়া গেছে। প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, ওই যুুুবক দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
অপর আরেক এজেন্টকে কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে কানধরে ক্ষমা চাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া একটি কেন্দ্র বাজি ফাঁটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাদরে ঢাকা ছিল বন্দর উপজেলা। কেহ পেশীশক্তি ব্যবহার করতে পারেনি। তবে সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরে পরে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। জানা গেছে, বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের পুলিং এজেন্ট নাঈমকে লাউসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার সময় পুলিশ হাতে নাতে আটক করে। অপরদিকে দুপুরে বন্দর ইউপির কুশিয়ারা হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে ৬টি বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের চিংড়ি প্রতীকের কর্মীদের হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশীদের কর্মীরা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। এদিকে মদনপুর ইউপির পশ্চিম কেওঢালা ভোট কেন্দ্র থেকে এক এজেন্টকে ধরে নিয়ে মারধরের অভিযোগে উঠেছে জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলিনুরের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার এজেন্টের নাম মো. ফারুক। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের আনারস প্রতীকের এজেন্ট। এছাড়া কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মনির হোসেন মিনু নামে এক পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। ভোটকক্ষে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় তাকে আটক করা হয়। আটক মনির হোসেন হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুর হাসান শুভ’র পোলিং এজেন্ট হিসেছে বন্দর ১নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আটকের বিষয়ে বন্দর কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আইয়ুব আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সবাইকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় তাকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে।’ এ ব্যপারে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা কাজী মো: ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদ বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ন ভাবে হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সানাউল্লাহ সানু বলেন আমি জয়ের জন্য আশাবাদি। শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুকিত বলেন, ভোট শান্তিপূর্ন ও উৎসব মুখর পরিবেশে হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। এ ব্যপারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা বলেন, ভোট শান্তিপূর্নভাবে হয়েছে। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। উল্লেখ্য, বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫৪টি কেন্দ্রের ৩৫৭টি ভোট কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬৪ জন।