আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:০৬

সব হারাতে বসেছেন এম এ রশিদ

ডান্ডিবার্তা | ১২ জুন, ২০২৪ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
একা হয়ে গেলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ। ক্ষমতার পালাবদলে তাকে সকলেই ছেড়ে গেছেন। তার পাশে এখন আর কেউ নেই। নির্বাচনের পর আর তাকে কোথাও দেখা যায়নি। এ জন্যই বলে সকাল বেলার আমির ফকির সন্ধ্যা বেলা। গতকাল মঙ্গলবার বন্দর উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন দায়িত্ব নেয়ার পর উপজেলায় তার ক্ষমতার অবসান ঘটে। এক সময় এম এ রশিদ যখন উপজেলায় যেতেন তখন তার পাশে অনেক চাটুকার ঘুরাঘুরি করতেন। যখন তিনি নির্বাচনে হেরে গেছেন তখন থেকে তার পিছে আর কেহ নেই। সকলেই তাকে ছেড়ে গেছেন। শুধু তাই নয় তার মাধ্যমে যারা সুবিধা নিয়েছে তারাও এখন তার পাশে নেই। এ যেন সকলেই স্বার্থের পাগল। নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন যখন দায়িত্ব গ্রহণ করতে উপজেলায় যান তখন তার শুভাকাঙ্খিদের ভিড়ে সেই কিছু চাটুকারদেরও দেখা যায়। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। এতদিন এম এ রশিদের গুনকুত্তন করে সুযোগ হাতিয়ে নিয়েছেন এখন মাকসুদ হোসেনের গুনকৃত্তন করে কিছু হাতিয়ে নেয়া যায় কি না এ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। যারা নির্বাচনে মাকসুদের বিপক্ষে কাজ করেছে তারাও আর মাকসুদের পিছনে ছুটছে। তবে এ সময় মাকসুদ হোসেনকে সর্তক থেকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন উপজেলার একাধিক বাসিন্দা। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদ দলের প্রতি খেয়াল না রেখে নিজের প্রতি বেশী আস্তা রাখায় তার ভরাডুবি হয়েছে। নয়তো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আর এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা হেরে যায় তা নিয়ে বিশ্লেষণ করলেই বুঝা যাবে কার দুর্বলতা। নেতাকর্মীরা বলেন, দুর্বল রাজনীতি, কর্মীদের অবজ্ঞা আর নিজের অহমিকার কারনে বন্দরে আওয়ামীলীগের পরাজয় হয়েছে। আর আওয়ামীলীগের পরাজয়ের আগুনে ঘি ঢালছেন স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান। তিনি নানা ধরনের হুমকি, বন্দরের ভোটারদের অপমানক করায় আগামীতে আওয়ামীলীগের জন্য আরো খারাপ পরিস্থিতি বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভোটাররা অনেক সচেতন। এবার বন্দরে সম্পূর্ন নিরপেক্ষ ও প্রভাব মুক্ত নির্বাচন হওয়ায় এ নির্বাচনকে সারা দেশে মডেল হিসাবে ধরা যেতে পারে। কারণ এবার ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিনা বাধায় ভোট দিতে পরেছে। আর গণতান্ত্রিক বিষয়কে এমপি প্রশ্নবিদ্ধ করায় অনেকের মাঝে ক্সোভ বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগের অনেকে বলছেন, যেহেতু এমপি জাতীয়পার্টির তাই তিনি আওয়ামীলীগের কি ক্ষতি হলো তা তিনি দেখছে না। তার মুখে যা ইচ্ছা তাই বলে যাচ্ছেন। তিনি সদর-বন্দর আসনের অভিভাবক। তার মুখে এমন কথা মানায় না। তিনি এ ধরনের কথা বলে এম এ রশিদকে ডুবিয়েছেন এখন আওয়ামীলীগকে আরো ডুবানোর চেষ্টা করছেন বলে তারা মনে করেন। সাধারণ মানুষের অভিমত জনগণ যাকে নির্বাচিত করেছে তাকে নিয়েই কাজ করতে হবে এমপি বা প্রশাসনের। তিনি বন্দরের উন্নয়নের ব্যপারে যে হুমকি দিয়েছেন তা আগামী দিনে তার জন্য ভাল কিছু বহন করে না। কারণ মানুষ তা মনে রাখবে। আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করেন, এমপি বক্তব্য একজনকে খুশি করার জন্য পুরো বন্দরবাসীর বিপক্ষে গিয়েছে। এ জন্য এমপির ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এবং তার বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিৎ। এ নিয়ে বন্দরে এখনো আলোচনা সমালোচনা চলছে। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভোটারদের সন্মান করা জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনে ভোটারদের অবদানই একমাত্র পথ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা