আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:০৪

না’গঞ্জে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট

ডান্ডিবার্তা | ১৩ জুন, ২০২৪ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দাম নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন হাটে তেমন ক্রেতা নেই, যারা আসছে তারা বিক্রি করার মতো দাম বলছেন না। কোরবানির পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচা-কেনা। তবে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। গতকাল বুধবার সরজমিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডে গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস এর খালি মাঠ, ৯নং ওয়ার্ডে জালকুড়ি উত্তর পাড়া দশ পাইপ সংলগ্ন মোতালিব বেপারীর বালুর মাঠ, ফতুল্লা বাজার পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়ের নতুন সৈয়দপুর, কাশিপুর, বন্দরের সোনাকান্দা, নবীগঞ্জ বুধবারের হাটসহ বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি আকৃতির ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। গরুর ব্যাপারিরা জানান, তাদের গতবারের চেয়ে বেশি দামে গরু কিনতে হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতারা দাম কম বলছে। জামালপুর থেকে হাটে এসেছেন মো. রফিক ব্যাপারি। তিনি বলেন, ‘আমি এবার ১৫টি গরু হাটে এনেছি। ২টি গরু বিক্রি করেছি। এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে যে গরু কিনেছি ক্রেতারা তার দাম বলছে এক লাখ ১০ হাজার। আব্দুল মালিক বন্দর থেকে এসেছেন। তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। আব্দুল মালিক বলেন, দাম একটু বেশি। এ গরু গতবার ৯০ হাজার টাকায় কেনা গেছে। হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আকৃতির গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার, মাঝারি আকারের গরু ৯০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু আছে। তবে দাম নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন হাটে তেমন ক্রেতা নেই, যারা আসছে তারা বিক্রি করার মতো দাম বলছেন না। রংপুর থেকে মো. রাজু ১০টি গরু এনেছেন, এর মধ্যে ৩টি গরু বিক্রি করেছেন। ২০০ কেজি মাংস হবে এমন গরু এক লাখ ৫০ হাজার, ১৬০কেজি মাংস হবে এমন দুইটি গরু ১ লাখ হাজার ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও ৫টি উপজেলায় ৯১টি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। হাট গুলোতে প্রায় ভরে গেছে গরু, ছাগল ও মহিষে কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম। তবে বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটের ভেতরে ফাঁকা ব্যাপারিরা অনেকটাই অলস বসে রয়েছেন। তারা বলেন, গত বছর এমন সময় ক্রেতাদের ভিড় ছিল। এদিকে ফরিদপুর থেকে ৭টি গরু এনেছেন জাহাঙ্গীর। এখনো একটিও বিক্রি হয়নি। জাহাঙ্গীর বলেন, হাতে তেমন ক্রেতা নেই। এই সময় তো আমরা দরদামে ব্যস্ত থাকতাম। দেখা যেত, আপনার সঙ্গে কথা বলারও সময় পেতাম না। এক লাখ ৫০ হাজার টাকা গরুর দাম চান জাহাঙ্গীর আর ক্রেতারা বলছেন এক লাখ ২০ হাজার। তবে অনেক ব্যাপারি মনে করছেন, মূলত ঈদের তিন দিন আগে হাটগুলো পুরোপুরি জমে উঠবে। এখন ক্রেতারা হাটে হাটে ঘুরেফিরে গরু-ছাগলের দাম দেখছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা