আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১৬

ভয়ঙ্কর খুনের নগরী বন্দরের মুরাদপুর! আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মনু’র পরিবার

ডান্ডিবার্তা | ১৬ জুন, ২০২৪ | ৫:৪৭ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ভয়ঙ্কর এক খুনের নগরী বন্দরের উত্তরাঞ্চল মুরাদপুর। একে একে একটি পরিবারের সবাইকে খুন করা হয়। পিতা-মাতা থেকে শুরু করে ভাই বোন সকলেই খুনের শিকার হয়েছে। এখন শুধু ২টি বোন বুকে শোকের বোঝাঁ নিয়ে বেঁচে আচেন। শুরুটা হয় ১৯ ৮৮ সালে। সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রথমে ১৯৮৮ সালে মা ফুলমতিকে কুপিয়ে হত্যা করে সে সময়ের আতঙ্ক সুরতআলী, রব ও নুরা বাহিনী। ১৯৯০ সালে এ সুরতআলী বাহিনী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা পিতা কামাল উদ্দিনকে ট্রাক চাকা দিয়ে হত্যা করে। উত্তল হয়ে উঠে বন্দরের উত্তরাঞ্চল। পরিনত হয় সন্ত্রাসের জনপদে। একে একে গড়ে উঠে ২টি বাহিনী। একটি সুরতআলী বাহিনী অপরটি পিতা-মাতার খুনের বদলা নিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে কামু বাহিনী। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মুরাদপুরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। একে একে খুন হতে থাকে উভয় গ্রæপের সদস্যরা। এ যেন এক মৃত্যুপুরি। কামরুজ্জামান কামুও বিদ্যুৎ বিভাগে কাচুরি করতেন। কিন্তু পিতা-মাতা খুন হলে আর বসে থাকতে পারেনি। হয়ে উঠেন বেপরোয়া। ২০০৩ সালে কামরুজ্জামান কামুর ভাই প্রবাস ফেরত ঠিকাদার বাবুলকে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে গেলে এসময় তার আরেক ভাই নুরা সন্ত্রাসীদের পায়ে ধরে ভাইয়ের জীবন ভিক্ষা চায়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা প্রথমে নূরাকে গুলি করে হত্যার পরই ভাই বাবুলকে গুলি করে হত্যা করে। তখন বিচলিত হয়ে উঠে প্রশাসন। কোন অবস্থাতেই দুই গ্রæপের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থামাতে পারছেনা। একই বছর খুন হন কামুর বোন নিলুফা। তাকে সুরতআলী বাহিনী কুপিয়ে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। অবস্থা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। ভয়ে এলাকাবাসী মুরাদপুরে প্রবেশে ভয় পেতেন। আস্তে আস্তে হয়ে উঠে ভুতুরে নগরী। এ বছরই কামুর বড় বোন রেহেনা বেগমে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হয়। আজো তার লাশের সন্ধান মিলেনি। এ হত্যাকান্ডে সুরতআলী বাহিনীর টিটু, মিঠুরা অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে সুরতআলী বাহিনীর প্রধান সুরতআলী খুন হন কামুর বড় ভাই আবুলের হাতে। আর কামু থাকে জেলে। পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় কামুর ভাই আবুল। কিন্তু মদনপুন স্ট্যান্ডসহ মুরাদপুর ও আশপাশের এলাকা এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নগরীতে পরিনত হয়ে উঠে। ২০১২ সালে কামু বাহিনী প্রধান কামরুজ্জামান কামু স্ট্রোক করে মারা গেলে। পরিবেশটা কিছুটা শান্ত হতে থাকে। পিতা-মাতা ভাই-বোন সকলকে হারিয়ে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মনু নিজ এলাকা ছেড়ে কাপাশিয়া চলে যান। সেখাগে গিয়ে বিয়ে করে বসবাস করতে থাকেন। মাঝে মধ্যে নিজ বাড়িতে এলেও অবস্থান করেননি। ২০১২ সালের পর থেকে মুরাদপুর অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু এ বছরের গত ৭ জুন খান হন সেই একমাত্র বেঁচে যাওয়া মনিরুজ্জামান মনু। এ খুমের মাধ্যমে একটি পরিবারের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেয়া হয়। ফের উত্তাল হয়ে উঠে বন্দরের উত্তরাঞ্চল। গত ৬জুন মনু তার মামির জানাজায় অংশ নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার কুতুবপুরে আসেন। পরদিন ৭জুন নিজ বাড়িতে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে আসেন। কিন্তু বাড়িতে আসার এক ঘন্টার মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রæপের প্রধান মনির, মিঠু ও টিটু সহ ১৫ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে সন্ত্রাসীরা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আত্মগোপনে চলে গেলেও মুন পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে মনুর পরিবারের অভিযোগ। তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা