
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রাজনীতির শেষ বলে কথা নেই। তবে রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন সময় দেখা যায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে একধরনের এলার্জি রয়েছে। অনেক সময় প্রকৃত ঘটনা অবগত না হয়ে মুখে যা ইচ্ছা তাই বলে বেড়ান। নিজের ফায়দা হাসিলের জন্য দীর্ঢ় দিন যার সাথে কাজ করেছেন তাকেও কথার বন্যায় নাজেহাল করতে ছাড়েন না। যা নিয়ে সৃষ্টি হয় আলোচনা আর সমালোচনার। বন্দরে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে নানা বক্তব্য বা হুমকি দিতে দেখা গেলেও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার পাত্র হতে হয়। সম্প্রতি বন্দর উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ নেতা ও উপজেলার নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন এম এ রশিদ। তিনি নির্বাচনের আগে তার প্রতিপক্ষ ২জন প্রার্থী ছিলেন, একজন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা অপরজন জাতীয়পার্টির নেতা। তাদের বর্তমান সামাজিক কর্মকান্ড গোপন রেখে পিছনের ইতিহাস নিয়ে নানা মুখরোচক বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার পত্র হয়েছেন। শুধু তাই নয় রীতিমত হুমকি দিয়েও সামালোচিত হয়েছেন। এম এ রশিদের একটি বক্তব্য নিয়ে এখন বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় সমালোচনা চলছে। তিনি একটি নির্বাচনী সভা বলেছিলেন, আপনা একজন রাজাকার পুত্র আরেকজন রাজাকারের ভাতিজা তাদের ভোট দেবে কে? কিন্তু তার এ বক্তব্য ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলেতে পারেনি। অবশেষে তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হন। বন্দরের কুশিয়ারা এলাকার একজন ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এম এ রশিদ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রচার করে থাকেন। কিন্তু ৭১ এর যুদ্ধের সময় তৎকালিন পাকিস্তান সরকারের লোক পরিচয় বহন করেও মুক্তিযোদ্ধারের নিজ বাড়িতে রেখে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন। সে সময় তিনি নিজ এলাকার মানুষদের বর্বরতার হাত থেকে রক্ষার জন্য তৎকালিন পাকিস্তান সরকারের পক্ষে রয়েছেন বলে জাহির করতেন। তার নাম লতিফ হাজী। আজো যার নামে বন্দরের কদমরসুলে লতিফ হাজীর মোড় নামে পরিটিত। তিনি ছিলেন এলাকাবসীর জন্য ন্যায় বিচারক ও সমাজ সেবক। যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করেছেন তিনি কি? রাজাকার না দেশ প্রেমিক? এম এ রশিদ ২বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে নিজে সমালোচিত হয়েছেন। যার দরুন তার ভরাডুবি হয়েছে। আতাউর রহমান মুকুল একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার জেঠা হাজী জালাল উদ্দিন ছিলেন এমপি, তার জেঠাতো ভাই এড. আবুল কালাম তিন তিন বার এমপি হয়েছেন। বর্তমানে তার ভাতিজা নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। যাদের কোন দুর্নম নেই। এ ধরনের পরিবার নিয়ে এম এ রশিদের বক্তব্যের প্রতিক্রীয়া এখনো চলছে। বন্দরের সর্বত্র চলছে সমালোচনা। মনে হচ্ছে জালাল হাজী পরিবার ও বিএনপি নিয়ে এম এ রশিদের এলার্জি হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯