আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১৫

শিমরাইল ও সাইনবোর্ডে মাসে কোটি টাকার নীরব চাদাঁবাজি

ডান্ডিবার্তা | ২৪ জুন, ২০২৪ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহন থেকে চলছে বেপরোয়া চাদাঁবাজি প্রতিমাসে চাদাঁবাজ সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে রীতিমতো চাদাঁবাজি হলেও প্রশাসন যেন নীরব ভুমিকায় অবর্তীন হয়ে পড়েছে। সাইনবোর্ড এলাকায় চাদাঁবাজি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে মাসুদ ও কবির বাহিনী তাদের একাধিক বার চাদাঁবাজির অভিযোগে র‌্যাব গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে ফের চলে চাদাঁবাজি। শিরাইল মোড়ে চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে নুর হোসেনের ভাতিজা একাধিক মামলার আসামী সোহেল, ডাকাত আবুল, ইয়াসিন, টেম্পু আতিক, রুবেল, রাসেল, শামীম ও সুমন বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। এসব চাদাঁবাজরা দুর পাল্লারর পরিবহনসহ স্থানীয় নাফ পরিবহন, শিমরাইল পরিবহন, লেগুনা , সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। এর মুল নেতৃত্বে রয়েছে আতিক ওরফে টেম্পু আতিক এক সময় র‌্যাব-পুলিশের র্দুর্ধষ সোর্স ছিলো। এর সুবাদেই আতিক জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে। মাদক, দেহব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সুদ ব্যবসা করা আতিকের পেশা। সুদে টাকা লাগিয়ে বহু মানুষকে নিঃস্ব করেছে আতিক। এছাড়াও আতিক বিশ বছর ধরে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজি করে আসছে। বর্তমানে সে মহাসড়কের আতংক। জানাযায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসগকের সাইনবোর্ড এলাকায় চলছে র‌্যাব ও থানা পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে কবির ও কামাল হোসেন মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে বিভিন্ন পরিবহন স্ট্যান্ড ও ফুটপাত দোকান থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ জানান পরিবহন শ্রমিক ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে কবির মাসে কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে। কবিরের নেতৃত্বে সাইনবোর্ড এলাকায় মাসুদ ওরফে সিএনজি মাসুদ, কামাল ওরফে সিএনজি কামাল, হাজাঙ্গীর ওরফে অটো জাহাঙ্গীর, আলমগীর, রেজু, মঞ্জু, সেলিম ও লিটু চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা আদায়ের অভিযোগে র‌্যাব-১১ কবির ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর এবং হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছিল। সিএনজি ও ইজিবাইক থেকে দৈনিক ১০০ টাকা অটোরিকশা থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে কবিরের লোকজন। কবিরকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করার পর কিছুদিন চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। আদালত থেকে জামিনে বের হয়েই চাঁদাবাজি শুরু করে। চাঁদা না দিলে মারধর করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিমরাইলে ফিটনেস ও রুট পারমিট ছাড়াই চলছে দেড়শতাধিক যাত্রীবাহী নাফ ও শিমরাইল পরিবহনের বাস। এসব বাস মালিকরা চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি। মালিকদের আক্ষেপ লাভের টাকা চাঁদায় শেষ হয়ে যায়। শিমরাইল পরিবহন ও নাফ এক্সপ্রেস নামক দু’টি কোম্পানি এসব বাস থেকে মাসে অন্তত ৪৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ও মেঘনা পর্যন্ত দেড়শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলছে শিমরাইল পরিবহন ও নাফ এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যানারে। প্রতিষ্ঠান দু’টি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিলেও বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ও আরটিসি (জেলা প্রশাসক) অনুমোদন নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তাছাড়া কোম্পানির অধিনস্ত অধিকাংশ গাড়ি যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত, নেই ফিটনেস, সঠিক কাগজপত্র ও রুট পরমিট। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে চালকরা খেয়াল খুশিমত যাত্রী উঠানামা করে মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা ও যানজট সৃষ্টি করছে। সড়কে স্ট্যান্ড বানিয়ে নির্বিগ্নে চলছে বাসগুলো। গাড়ি প্রতি কোম্পানির নামে দৈনিক চাঁদা নিচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। পরিসংখ্যান মতে দেড়শতাধিক গাড়ি থেকে মাসে চাঁদার পরিমান দাঁড়ায় ৪৫ লক্ষাধিক টাকা। চাঁদার একটি অংশ স্থানীয় প্রভাবশালী ও হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। তাই হাইওয়ে পুলিশ নিরব। জানা গেছে, নাফ কোম্পানির নামে চলছে অর্ধশতাধিক বাস। যার অধিকাংশই রুট পারমিট নেই। ঢাকার মাহমুজুর রহমান নামে একজন কোম্পানির এমডি। দেখভাল ও চাঁদা আদায় করেন সুমন। শিমরাইল পরিবহনের এমডি আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের আপন ভাতিজা সোহেল। পরিচালনা করেন রাসেল ও চাঁদা তুলেন ম্যানেজার কামরুল। ওই কোম্মপানির নামে চলছে শতাধিক বাস। সোহেল নিজেও আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ছিল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করে র‌্যাব ও থানা পুলিশ। শিমরাইল পরিবহন কোম্পানির ব্যানারে একশ গাড়ি চলাচলের সত্যতা স্বীকার করে এমডি সোহেল বলেন, বাসগুলো ভাড়া হিসেবে চালাচ্ছি। মালিকদের দৈনিক ১হাজার ৮শ টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা অফিস খরচ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। এটা চাঁদাবাজি নয়। কাগজপত্র ঠিক আছে বলে দাবি করেন তিনি। নাফ এক্সপ্রেস দেখভালের দায়িত্বে থাকা সুমন স্বীকার করেছেন, কিছু গাড়ির রুট পারমিট নেই। গাড়ি প্রতি দৈনিক আটশত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিরাইলে চলাচলরত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পরিবহন থেকে ২০০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত ডাকাত দিনার বন্ধু ডাকাত সর্দার আবুল ও তার বাহিনীরা। তার শেল্টারদাতা হিসেবে রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সরকারি দলের নেতারা। শিমরাইল চিটাগাংরোড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচলকারী লেগুনা থেকে ১০০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে সুদ ব্যাবসায়ী চাদঁবাজ বহুরুপী আতিক ওরফে টেম্পু আতিক। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্ফোরক, পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক মামলা। চিটাগাংরোড় মাইক্রোস্ট্যান্ড সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর মটর চালকলীগের ব্যানারে পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে সিএনজি প্রতি ১৫০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে সুমন ওরফে চিকনা সুমন। চিটাগাংরোড খানকা মসজিদের সামনে থেকে চলাচলরত ব্যাটারী চালিত অটো থেকে স্থানীয় কাউন্সিলরের লোক পরিচয় দিয়ে ৫০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করছে শামীম ওরফে ফেন্সী শামীম। এ টাকার একটা অংশ স্থানীয় কাউন্সিলর পায় বলে জানা গেছে। সাইনবোর্ড ও শিমরাইলের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই (প্রশাসন) সরফুদ্দিন এ বিষয়ে বন্তব্য করতে অনিহা প্রকাশ করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা