আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:২৭

সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ডান্ডিবার্তা | ২৬ জুন, ২০২৪ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডে যুবলীগ অফিসে হামলা, ভাংচুর, মারধর ও যুব মহিলালীগ নেত্রীর শ্লীতাহানির ঘটনায় দুর্ধষ সন্ত্রাসী ‘টেনশন ও ডেভিল এক্স’ গ্রæপের ৭ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্থানীয় যুব মহিলালীগের নেত্রী ফাতেমা আক্তার। মামলার আসামীরা হলেন, দুর্র্ধষ কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী ‘টেনশন গ্রæপ’র লিডার সীমান্ত (২৭), মইন (২৬), জামাল (২১), অন্তর (১৯), মিলন (২০), সুজন ফকির (২২) ও ‘ডেভিল এক্স’ গ্রæপের লিডার শারিফ (১৮)। তবে বাদীর অভিযোগ, হামলার নির্দেশদাতা কিশোরগ্যাং গ্রæপের পৃষ্ঠপোষক একাধিক মামলার আসামী শফিকুল ইসলামকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া মামলা হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী কোন তৎপরতা দেখাচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। মামলার তথ্যমতে, মামলার আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড করে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে। সীমান্ত ‘টেনশন গ্রæপ’ ও শারিফ ‘ডেভিল এক্স’ নামক দুটি সন্ত্রাসী দলের মূলহোতা হিসাবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত। গত রোববার সন্ধ্যার পর টেনশন গ্রæপের লিডার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী রাইসুল ইসলাম সীমান্তের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া খালপাড় এলাকায় যুবলীগ অফিসে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কার্যালয়ে থাকা বিভিন্ন আসবাব পত্র, অফিস ডেকোরেশনের বিভিন্ন সরঞ্জাম, টিভি ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায়ে ‘ডেভিল এক্স’ গ্রæপের লিডার সারিব অফিসে থাকা টেবিলের ড্রয়ার ভাংচুর করে ড্রয়ারে থাকা অফিসের খরচ বাবদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে যুব মহিলালীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তারকে মারধর করে এবং পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর গত রোববার রাতে শফিকুল ইসলামকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় যুব মহিলালীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার। কিন্তু পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবৈধ সুবিধা নিয়ে নানাভাবে দেনদরবার করে শফিকুল ইসলামের নাম বাদ দিতে। এক পর্যায়ে ২৪ ঘন্টা পর শফিকুল ইসলামের নাম মামলা থেকে বাদ দিয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। কিন্তু মামলা হলেও গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেপ্তারন করেনি। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কোন আসামী গ্রেপ্তার নাই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা