আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:২৮

দুর্বল থেকে দুর্বল বন্দর আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ২৭ জুন, ২০২৪ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে আওয়ামীলীগের লজ্জাজনক হারের কারণ হিসাবে ত্যাগী নেতারা এম এ রশিদের একগুমিকে দায়ি করছেন। নেতাকর্মীদের সাথে অহমিকার কারণে আর তার এই পরিনতির সাথে আওয়ামীলীগকে হারিয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আর এ সময় দলকে সুসংগঠিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার হারতে হারতে হয়েছে। দলকে সাংগঠনিক নিয়মে না চালিয়ে নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা করায় অনেক ত্যাগী নেতা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদের প্রতি নেতাকর্মীদের অনিহা সৃষ্টি হওয়াটা একদিনে হয়নি। তার দীর্ঘ দিনের কর্মকান্ডে এ অবস্থা তৈরী হয়েছে। বর্তমানে সে দলের জন্য অগাছা। দলকে রক্ষা করতে হলে এ ধরনের আগাছা পরিস্কার করা জরুরী। তা হলে বন্দরে দল রক্ষা পাবে। নারায়ণগঞ্জের জন্য শামীম ওসমান নি:সন্দেহে ত্যাগী জাদলের নেতা। তার আহবানে নারায়ণগঞ্জে অসাধ্যকে সাধ্য করা যায়। তবে তিনি যার জন্য বলবেন তিনিও তারমত কর্মীবান্ধব হতে হবে। কিন্তু এম এ রশিদ কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন না বা কখনো হতেও পারেননি। তার অনেক সুযোগ ছিল কর্মীদের তার প্রতি আকৃষ্ট করার। কিন্তু তার অহমিকায় তার কাছ থেকে কর্মীদের দুরে সরিয়ে রেখেছে। অনেকে বলেন, বন্দরের নির্বাচনে তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ছিল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কেহই তার পখ্ষে নয় শুধু লোক দেখানোর জন্য মাঠে ছিল। আর তিনি যতটুকু ভোট পেয়েছে তাও শামীম ওসমানের আর্শিবাদে। কারণ সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাও এম এ রশিদের মত নেতাদের কর্মকান্ডে। এম এ রশিদ যতটুকু ভোট পেয়েছে তা দলের অস্তিত্ব রক্ষায় দলের জন্য নিবেদিতরাই দিয়েছেন। নির্বাচন এমন একটা বিষয় এখানে হুমকি বা হাক ডাক দিয়ে ভোট বাগানো যায়না। ভোটার ও নেতাকর্মীদের আগলে রাখতে হয়। কর্মীদের সুযোগ সুবিধা দিতে হয়। এম এ রশিদ ৫ বছর বন্দর উপজেলায় বিনা ভোটের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই তিনি ভোটের কদর বুঝেননি। মনে করেছিলেন এবারও ওসমান পরিবার তাকে ক্ষমতায় বসাবেন। কিন্তু তার স্বপ্ন পুরন হলো না। এর কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চর্চা শুরু করেছেন। যার ভোট সে দিতে আর জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। এই ব্যবস্থায় এম এ রশিদ মার খেয়ে গেলেন। সে কখনো ভোটে জয়ি হতে পারেননি। এ ব্যপারে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ ভাল লোকের নেতৃত্ব চায়। ভাল মানুষ চেয়ারে আসলে অবহেলিত মানুষ তাদের সুখ দু:খের কথা বলতে পারেন। বিগত ৫ বছর সে অবস্থা ছিল না। এম এ রশিদ নিজেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বড় নেতা মনে করতেন। আর তিনি দলের চেয়ে চাটুকারিতা করেই সময় পার করেছেন। তার দল বন্দর দুবর্ল থেকে অধিক দুর্বল হয়েছে। সে দলের জন্য অকেজো। এ ধরনের অকেজা মানুষ দল থেকে বের করে দলকে নতুন করে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা